সিওল: দক্ষিণ কোরিয়ায় (South Korea) যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত (Landmark Decision) নিয়েছে সিওল হাইকোর্ট (Seoul High Court)। সেদেশে সমকামী দম্পতিরাও (Same-Sex Couples) এবার থেকে বিষমকামী দম্পতি অর্থাৎ হেটেরোসেক্সুয়াল কাপলদের (Heterosexual Couples) মতোই জাতীয় স্বাস্থবিমা পরিষেবার অধীনে স্বামী-স্ত্রী কভারেজ (Spousal Coverage) পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই প্রথমবার সমকামী সঙ্গীদের আইনি মর্যাদাকে (Gay Partner’s Legal Status) স্বীকৃতি দেওয়া হল। সমাজকর্মীরা এই সিওল হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলা হচ্ছে, আদালতের এই রায় সেদেশে এলজিবিটিকিউ অধিকারের (LGBTQ Rights) জন্য বড় জয়।
সিয়ং-উক (Seong-wook) এবং কিম ইয়োং-মিন (Kim Yong-min) বিবাহিত সমকামী দম্পতি (Married Gay Couple)। ২০১৯ সালে বিয়ের পর থেকে তাঁরা দু’জনে একসঙ্গেই থাকেন। তাঁরা আদালতে আইনি মামলা (Lawsuit) দায়ের করেছিলেন। এবার সেই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হবে। সিওল হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তার ফলে নিম্ন আদালতের রায়কে বাতিল হল। নিম্ন আদালত বলেছিল, দক্ষিণ কোরিয়ায় সমকামী ব্যক্তিরা বিষমকামী দম্পতিদের মতোই জাতীয় স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রমের (National Health Insurance Program) অধীনে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: ICC Test Ranking: টেস্টের এক নম্বর বোলার ‘বুড়ো’ অ্যান্ডারসন, দুইয়ে অশ্বিন
সমকামী যুগলের হয়ে মামলা লড়া আইনজীবী রিয়ু মিন-হি (Ryu Min-hee) বলেছেন, সিওল হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় সমকামী দম্পতিদের আইনি মর্যাদার প্রথম স্বীকৃতি। সমকামী যুগল সিয়ং ও কিম যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা আনন্দিত। এটা শুধু আমাদের নয়, কোরিয়ার অসংখ্য সমকামী দম্পতি (same-sex couples) এবং এলজিবিটিকিউ পরিবারের (LGBTQ Families) জন্যও বড় জয়।”
ন্যাশনাল হেলথ ইনসিওরেন্স সার্ভিস (National Health Insurance Service)-এর বিরুদ্ধে সিয়ং-উক মামলা দায়ের করেছিলেন। কারণ, তাঁদেরকে স্পাউজাল বেনেফিট (Spousal Benefits) দেওয়া হবে না বলা হয়েছিল। নিম্ন আদালতও বিমা প্রদানকারী সংস্থার পক্ষ রায় দেয়। নিম্ন আদালত বলেছিল, সমকামী বিবাহকে দেশের বর্তমান আইনের অধীনে কমন-ল ম্যারেজ (Common-Law Marriage) হিসেবে গণ্য করা যাবে না, তাই সমকামী দম্পতিরা বিমার সুবিধা পাবেন না। তারই বিরুদ্ধে সিওল হাইকোর্টে যান সিয়ং-উক এবং কিম ইয়োং-মিন। হাইকোর্টের বক্তব্য হল, আদালতের দায়িত্ব হল যেকোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করা। ন্যাশনাল হেলথ ইনসিওরেন্স সার্ভিস সূত্রে বলা হয়েছে, এবার তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবে সিওল হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে।