ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার (Dhaka) গুলিস্তানের (Gulistan) নর্থ সাউথ রোডের গ্রিন সুপার মার্কেটের উল্টো পাশের আটতলা ভবন থেকে হঠাৎ করে প্রবল বিস্ফোরণের (Explosion) শব্দ আসে। স্থানীয়রা প্রথমে এটিকে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ বলে মনে করেন। কিন্তু পরে লোকজন দ্রুত বের হয়ে দেখেন ভবন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ভবনটির দোতলায় রয়েছে ব্যাঙ্কের অফিস। অন্য তলাগুলোতে রয়েছে অনিকা ট্রেডার্স, বাদশা ট্রেডিংসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬।
স্থানীয় লোকজন দেখেন, ভবনের দোতলা ও তিনতলা থেকে অনেক ধোঁয়া বের হচ্ছে। নীচের তলার লোহার তৈরি গেট বেঁকে গিয়েছে। দেওয়াল ফেটে গিয়েছে। বাইরের এসির অংশ খুলে পড়েছে। ভেতর থেকে মানুষের চিৎকার, আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। পাশে ছিল মসজিদ। সেখানে নামাজ শেষ করে দৌড়ে আসেন লোকজন।
আরও পড়ুন: Migrant Workers: তামিলনাড়ুতে বিহারি শ্রমিকদের মারধরের খবর ‘ভুয়ো’, অভিযোগে এফআইআর
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ারুল কাদির স্থানীয় সংবাদপত্র প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ করে আমি বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ছুটে যাই। ভেবেছিলাম ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু গিয়ে দেখি যে ভবনটির দুই তলা ও তিনতলা ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে মানুষের চিৎকার ভেসে আসছে। প্রচুর ধোঁয়া বেরচ্ছে।
রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে আহত শতাধিক ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালের আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার সময় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে বলেন, আমি ফুটপাতে বেল কিনছিলাম। এমন সময় হঠাৎ বিকট একটা আওয়াজ হলো। শব্দে শুনে আমি পড়ে গেলাম। আমার হাতে বাজারের ব্যাগ ছিল। সেখানে বাড়ির জন্য বাজার ছিল। সব পড়ে গিয়েছে। দেখি পুরো এলাকায় ধোঁয়া। কোনও ঘরবাড়ি কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। সব মানুষ খালি দৌড়াচ্ছে। আমিও ব্যাগটা নিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি। কথাগুলো বলছিলেন কামাল আহমেদ। রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনি। আহত কামাল আহমেদ রাজধানীর একটি বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করেন। মঙ্গলবার বিকেলে বাবুবাজারে তাঁর অফিস থেকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে গুলিস্তানে পৌঁছানোর পর বিস্ফোরণে আহত হন তিনি। কামাল আহমেদের হাতের বিভিন্ন জায়গা কেটে গিয়েছে। ব্যান্ডেজ নিয়ে মেডিক্যালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।