তানজানিয়া: আফ্রিকায় মিলল মানুষের শরীরে মিলল নতুন বিপজ্জনক ভাইরাস। মারাত্মক এই ভাইরাসের নাম মারবার্গ (Marburg ) ভাইরাস। ইবোলা ভাইরাসের মতো প্রকৃতির এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে মৃত্যু বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ইকুয়েটরিয়াল গিনিতে প্রথম এই ভাইরাসের কথা জানা যায়। তখন থেকে হু-র তথ্য অনুযায়ী ৮টি কনফার্ম ওই ভাইরাসে আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে। ২০ জন সম্ভাব্য আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে। প্রত্যেকের মৃত্যু হয়েছে। তানজানিয়াতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য সতর্কীকরণের বার্তা দিয়েছে ওই ভাইরাস। মারবার্গ ভাইরাসে ভাইরাল রক্তক্ষরণজনিত জ্বর হয়। যার মৃত্যুহার ৮৮ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মারবার্গ ভাইরাসের ইবোলার (Like Ebola) সঙ্গে চরিত্রগত মিল রয়েছে প্রচুর। একই গোত্রের ভাইরাস। ইবোলার মতো এটা ভাইরাল হেমারেজিক ফিভার (Viral Hemorrhagic Fever) ঘটায়। যার জন্যে শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ (Internal Bleeding and Organ Damage) হয়। অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়ে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation)রিপোর্ট অনুসারে মার্গবার্গ ভাইরাসের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুহার রয়েছে। কয়েক দিন থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় দরকার হতে পারে লক্ষণ ফুটে উঠতে। মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুযায়ী, মার্গবার্গ ভাইরাস ব্যতিক্রমী রোগ। মানুষকে যা আক্রমণ করে। এটি ফিলোভাইরাস পরিবারের ইউনিক জুনোটিক আরএনএ ভাইরাস (Unique zoonotic RNA virus of the filovirus family)। যার মধ্যে ইবোলা ভাইরাসের ছয়টি প্রজাতির গুণমান বিদ্যমান। এই রোগের কী লক্ষণ? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, মার্বার্গ ভাইরাস ডি-য়ের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার ২৩-৯০ ( Fatality rate of up to 90 percent) শতাংশ। যেসব সাধারণ উপসর্গ দেখা যায় তা হল, উচ্চ তাপমাত্রা (High fever), মাথা ধরা, বমি হওয়া, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া। এছাড়া ওজন কমে যাওয়া, জন্ডিশ, লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে।
ডাক্তারদের মতে, মার্বার্গ ভাইরাসের শুশ্রুষা একটু কঠিন। কারণ দেখা গিয়েছে, অনেক উপসর্গই ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো। বাদুড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। মার্বার্গের এখনও পর্যন্ত সঠিক শুশ্রুষা বা ভ্যাকসিন নেই। ইমিউন থেরাপি, ড্রাগ থেরাপি দেওয়া যেতে পারে রোগীকে।