ওয়েব ডেস্ক: ফের ইতিহাস বদলে ফেলার চেষ্টা বাংলাদেশে (Bangladesh)। এবার ইউনুস (Mohammed Yunus) সরকারের নিশানায় ভারতীয় মনীষীরা (Indian Legends)। অর্থাৎ, শুধু শেখ মুজিবুর রহমান বা মুক্তিযোদ্ধারা নন, এবার বাংলাদেশের পরিবর্তিত ইতিহাস থেকে বাদ পড়তে চলেছেন ভারতের একাধিক মনীষী। সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। যেখানে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নয়, ভারতীয় মনীষীদের নামও মুছে ফেলা হয়েছে।
হাসিনার দেশত্যাগের পর যখন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নাম মুছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশাসনের দাবি, ওই সময়কালকে ‘স্বৈরাচারী অধ্যায়’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই কারণে সেই ইতিহাস নতুন করে লেখা প্রয়োজন বলে মনে করে ইউনুস সরকার। তবে এই সিদ্ধান্তকে বিরোধীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন বলে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ট্রাম্প বললেন “মোদি দেখে নেবেন…”
তবে শুধু বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনার নামই নয়, বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত মনীষীদের নামও মুছে ফেলা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Khulna University) রেজিস্ট্রার এসএম মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি নোটিসে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৯টি প্রশাসনিক ভবনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি ভবনের নাম ইতিমধ্যে বদলানো হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে যেসব মনীষীদের নাম মুছে ফেলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জগদীশ চন্দ্র বসু, কবি জীবনানন্দ দাশ, প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখরা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি একটি সাধারণ প্রশাসনিক পরিবর্তন। তবে সমালোচকরা বলছেন, এটি ইতিহাস মুছে ফেলার কৌশল এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এদিকে এই সিদ্ধান্তের পর দেশজুড়ে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে অস্বীকার করা।
দেখুন আরও খবর: