ওয়েব ডেস্ক: চীনের (China) তিয়ানজিন শহরে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনের (SCO Summit) ফাঁকে রবিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতির জল্পনার মাঝে এই বৈঠক নিয়ে চর্চা ছিল অব্যাহত। অবশেষে রবিবার এক টেবিলে মুখোমুখি হলেন দুই প্রতিবেশি দেশের প্রধান। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে সীমান্ত উত্তেজনা পরবর্তী পরিস্থিতি, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আস্থা পুনর্নির্মাণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মোদি ও জিনপিং।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠকে বলেন, “আমরা পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা এবং সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে ভারত-চীন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত বছর কাজানে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।” তাঁর দাবি, দুই দেশের সহযোগিতা সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের পথও প্রশস্ত করবে। পাশাপাশি কৈলাস মানসোরবর যাত্রা পুনরায় শুরু এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আশাবাদী মন্তব্য করেন মোদি।
আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগেই মোদিকে ফোন জেলেনস্কির, কী কথা হল?
কূটনৈতিক মহলের মতে, এই বৈঠকের পটভূমি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৮ সালের উহান বৈঠকে যখন দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন তুঙ্গে ছিল, সেই সময়ের পরিস্থিতির তুলনায় এখন প্রেক্ষাপট অনেকাংশে আলাদা। ডোকলাম অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার পর নতুন করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে দিল্লি-বেজিং। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, চীন মূলত মার্কিন প্রভাবকে দুর্বল করার জন্যই ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বার্তা দিচ্ছে।
Sharing my remarks during meeting with President Xi Jinping. https://t.co/pw1OAMBWdc
— Narendra Modi (@narendramodi) August 31, 2025
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলে আরও মনে করা হচ্ছে, শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে একটি কূটনৈতিক বার্তাই বয়ে আনবে। কারণ সম্প্রতি রুশ তেল আমদানির জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর দ্বিগুণ শুল্ক লাগু করেছে।
দেখুন আরও খবর: