ওয়েব ডেস্ক: বরখাস্ত হয়েছিলেন আগেই, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে গ্রেফতার করা হল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল (Yoon Suk Yeol)। দেশে সাময়িকভাবে মিলিটারি শাসন (মার্শাল ল) জারি করেছিলেন ইওল। তার জেরেই সে দেশের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
কিন্তু প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীর একটা ছোটখাটো সেনাবাহিনী রয়েছে, তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশের। অবশেষে বুধবার সকালে ইওলকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে তারা। ভোর হওয়ার আগেই প্রায় ৩০০০ পুলিশকর্মী এবং তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে পৌঁছে যান। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই জমায়েত করে ছিলেন ইওলের সমর্থক এবং শাসকদল পিপল পাওয়ার পার্টির (People Power Party) সদস্যেরা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের রাস্তায় গান গেয়ে ক্ষীর বিক্রি করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
ইওলের আইনজীবীরা বার বার বলেছেন, তাঁকে গ্রেফতার করা বেআইনি পদক্ষেপ, এটা প্রকাশ্যে তাঁকে কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও গদিতে থাকা প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার হলেন।
সামরিক আইন (Martial Law) জারি করায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন সে দেশের মানুষ। এশিয়ার অন্যতম সেরা গণতন্ত্রে আচমকাই এক অভূতপূর্ব বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। ইওল দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের (Kim Jong Un) মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। দেশকে কমিউনিস্ট আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে দেশে সামরিক আইন জারি করছেন। তবে বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করে, সামরিক শাসন জারির মধ্যে দিয়ে দেশে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা।
দেখুন অন্য খবর: