কাবুল: তালিবানের নতুন আইনে আফগান মহিলারা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পাবেন৷ কিন্তু, সেখানে মিক্সড ক্লাস নিষিদ্ধ থাকবে৷ নতুন সরকার গঠন নিয়ে রবিবার তালিবানরা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে৷ সেই বৈঠকে নারী শিক্ষার প্রসঙ্গ উঠলে তালিবানের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষা মন্ত্রী আব্দুল বাকী হাক্কানি এমনটাই জানিয়েছেন৷
অগস্টের মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তান দখল নিয়েছে কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠী তালিবান৷ সেই তালিবানদের শাসনে ১৯৬০ দশকে আফগানিস্তানে মহিলাদের লেখা পড়া নিষিদ্ধ ছিল৷ কিন্তু, এবার সেই সুযোগ থাকবে বলে তালিবানিরা বারবার বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করছে৷ এ দিন তালিবানের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষা মন্ত্রী আব্দুল বাকী হাক্কানি বলেছেল, ‘‘শরীয়া আইন অনুাযায়ী আফগান মহিলারা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন৷ তিনি আরও বলেছেন, তালিবানরা সঙ্গতিপূর্ণ, যুক্তিসঙ্গত ও ইসলামিক পাঠ্যক্রম তৈরি করতে চায়৷ যা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম হতে পারে”। তবে, প্রাথমিক স্তর থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা আলাদা পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে৷ যা আফগানিস্তানে বর্তমানে প্রচলিত রয়েছে৷
আরও পড়ুন- সতর্কতা জারি উত্তরাখণ্ডে, একাধিক জায়গায় বন্ধ যান চলাচল
তালিবানদের বক্তব্য অনুযায়ী, মহিলারা কঠোর ইসলামী শরীয়ত মেনে নিজেদের অধিকার ও অগ্রগতি করার শিক্ষা পাবেন৷ কিন্তু,নারীরা কাজ করতে পারবে কিনা,সব স্তরে শিক্ষার সুযোগ পাবে কিনা এবং পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারবেন কিনা এসব প্রশ্নে চুপ রয়েছে তালিবানরা৷ আগের তালিবানি শাসনে নারীদের জনজীবন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল৷ বিনোদন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল৷ শুধু তাই নয়, নৃশংস শাস্তির ব্যবস্থা ছিল৷ ব্যভিচারের জন্য পাথর মেরে হত্যা করা হত নারীদের। তাই, তালিবানি শাসনে মেয়েরা আদতে কতটা শিক্ষার সুযোগ পাবেন তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে৷ তাই, অনেকেই হাক্কানির কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না৷
আরও পড়ুন- বিজেপি শাসিত রাজ্যের মহকুমা শাসক কৃষকদের মাথা ফাটাতে বলছেন,ভাইরাল ভিডিও
গত সরকারের আমলে সিটি ইউভার্সিটির এক লেকচারার জানান ‘”তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার বিষয়ে শুধুমাত্র পুরুষ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিল৷ এই সিদ্ধান্ত নারীদের অংশগ্রহণের পদ্ধতিগত প্রতিরোধ৷ শুধু তাই নয়, তালিবানদের অঙ্গীকার ও কাজের মধ্যে একটা বড় ব্যবধান প্রমাণ করে”।
আরও পড়ুন- বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়ামের দ্বিতীয় সুপারিশ ফেরত পাঠিয়ে সমালোচনার মুখে কেন্দ্র
গত ২০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হার বেড়েছে৷ বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে যারা পুরুষদের সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এবং পুরুষ অধ্যাপকদের সঙ্গে বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু, সাম্প্রতিক হামলার কারণে একডজনের বেশি মৃত্যু হয়েছে৷ যা আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে৷ যদি সেই সমস্ত হামলার পিছনে তারা ছিল না বলে জানিয়েছে তালিবান৷ বরং, স্থানীয় কিছু ইসলামিক গ্রুপ আছে বলে জানা গিয়েছে৷