ওয়েব ডেস্ক: আজ রাতে এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসী। বদলে যাবে পূর্ণিমার চাঁদের রং। ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon) বা রক্তবর্ণ চাঁদ দেখা যাবে অন্ধকার আকাশে। পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের আলো-ছায়ার খেলায় ঘটবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse)। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দৃশ্যমান হবে এই চন্দ্রগ্রহণ। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি শতাব্দীর অন্যতম দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ (Longest Lunar Eclipse) হতে চলেছে। কারণ রবিবার পূর্ণগ্রাস প্রায় ৮২ মিনিট স্থায়ী হবে। ভারত থেকে এমন চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে তিন বছর পর।
এশিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ভারতের প্রায় সব শহর থেকেই এই দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব হবে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, পুণে, লখনউ, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড় সহ একাধিক শহরে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আকাশে রক্তচন্দ্রের বিরল দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। তবে আবহাওয়া অনুকূল না হলেও গ্রহণের সময় চাঁদ দিগন্ত থেকে প্রায় ৬০ ডিগ্রি কোণে থাকার ফলে প্রায় সবাই এটি দেখতে পাবেন। প্রথমে ফ্যাকাশে হলদে, তারপর ধীরে ধীরে টকটকে লালে রূপ নেবে।
আরও পড়ুন: সৌরজগতে রহস্যময় বস্তু! কীসের ‘অশনি সংকেত’ দেখছেন বিজ্ঞানীরা?
গ্রিনিচের সময় অনুসারে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে এবং শেষ হবে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী গ্রহণ শুরু হবে রাত ৮টা ৫৮ মিনিটে এবং শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ২টো ২৫ মিনিটে। এর মধ্যে পূর্ণগ্রাস অংশ দৃশ্যমান হবে রাত ১১টা থেকে ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও লালচে চাঁদ দেখা যাবে রাত ১১টা ৪২ মিনিটে। এরপর ভারত থেকে আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
চাঁদের নিজস্ব আলো না থাকায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় তার গায়ে। কিন্তু যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। এর ফলে চাঁদ ধীরে ধীরে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে চাঁদের গায়ে পড়ে লালচে আভা তৈরি করে। এই কারণেই একে ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তবর্ণ চাঁদ বলা হয়।
দেখুন আরও খবর: