ওয়েব ডেস্ক: টার্গেট আগামী বছরের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট (West Bengal Assembly Election)। হিন্দুত্বই (Hinduism) হবে মূল অ্যাজেন্ডা। হিন্দু ভোটকে একত্রিত করতে হবে। সেজন্য সামনে রাখা হবে বাংলাদেশ ইস্যু। এখন থেকেই হিন্দুত্ব নিয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করবে আরএসএস (RSS)। সম্প্রতি মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) পশ্চিমবঙ্গে ১০ দিনের বঙ্গ সফর করে গিয়েছেন। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, দিল্লির মতো রাজ্যে হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডার প্রচারে আরএসএস সফল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও একই পদ্ধতি তারা প্রয়োগ করতে চাইছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে সরব আরএসএস। নাগপুরে তিন দিনের আরএসএসের সর্বভারতীয় বৈঠক শেষ হল। সেখানে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই মাসের শেষেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম সেখানে যাবেন মোদি। মনে করা হচ্ছে সেখানে মোদির কাছে ওই প্রস্তাব তুলে ধরা হতে পারে।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মন্ত্রী হওয়ায় সুকান্ত মজুমদারের জায়গায় এক পদ নীতি মেনে নতুন সভাপতি হওয়ার কথা। সম্প্রতি রাজ্যে দিলীপ ঘোষের সক্রিয়তা বেড়েছে। বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় কর্মীদের বিষোদগার চলছেই। ‘ঠোঁটকাটা’ দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে উজ্জীবিত হচ্ছিল বিজেপির একাংশ কর্মী। মনে করা হচ্ছিল ফের পুনরুত্থান হতে পারে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপের। কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ সভাপতি হতে পারেন। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে মহিলার সঙ্গে তাঁর আচরণ সব ঘেঁটে দিয়েছে। ঘটনায় দিলীপ ঘোষ নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রিপোর্ট তলব। বিজেপি সূত্রে খবর, দিলীপ ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন একজন মহিলাকে এই রকম কথা বললেন? ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় রাজ্য বিজেপির দিলীপ ঘোষ বিরোধীরা সক্রিয় হয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই দিলীপ ঘোষের আচরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিয়েছেন। এই ঘটনা কি দিলীপ ঘোষের পুনরুত্থানে কাঁটা হবে? প্রশ্ন দলের মধ্যেই।
আরও পড়ুন: গোটাটাই আমাদের হাতে থাকলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম, AI আশঙ্কায় বিল গেটস
দেখুন অন্য খবর: