ওয়েব ডেস্ক: শেখ হাসিনার ভারত থেকে দেওয়া ভাষণের জেরে ঢাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের মাটিতে বসে হাসিনা কোনও কিছু পরিচালনা করলে তার জন্য দায়ী থাকবে ভা্রত। ভারতে থেকে হাসিনা যদি রাজনীতি করার চেষ্টা করেন, কোনও রাজনৈতিক সভা করেন তার জন্য ভারত সরকার দায়ী থাকবে। মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেন। ৩২ নম্বর ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বাসস্থান। সেই বাসস্থানে বুধবার রাতে যেভাবে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তাতে নিন্দার ঝড় সর্বত্র। হাসিনা বুধবার রাতে অনলাইনে ভাষণ দেন। তারপরই বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বুলডোজার মিছিলের ডাক দেন। শুধু তাই নয় হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতেও হামলা হয়েছে।
গত পাঁচ অগাস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের মূর্তি ভাঙা হয়। সেখানে গঠিত হয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর কেটে গিয়েছে ছয় মাস। কিন্তু বাংলাদেশে পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। বুধবার ৩২ নম্বর ধানমণ্ডিতে মুজিবরের বাড়িতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ইতিহাস।
ওই ঘটনায় হাসিনা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, অস্তিত্ব ভেঙে ফেললেও ইতিহাস মোছা যাবে না। বাংলাদেশের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভারতের বিদেশমন্ত্রক কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।