কলকাতা: বিকেলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাবি করলেন, আমাদের মধ্যে কোনও ভাগাভাগি নেই, দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। আর বৃহস্পতিবার রাতেই বেহালার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল মারামারি চলল। চ্যাটার্জিপাড়া এবং সরশুনা বাস স্ট্যান্ডে তৃণমূলের দুটি পার্টি অফিসে চলল ভাঙচুর। যুব তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ।
মার খেয়ে স্থানীয় নেতারা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, সব বিষয় দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব। কল্যাণ সেনগুপ্ত নামে এক নেতা বলেন, এর পরেও যদি দল ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আর রাজনীতি করব না।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সরশুনায় বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের একটি সভা ছিল। সেখানে দলের নেতা, বহু কাউন্সিলর, দেবাংশু ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সকলে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছিলেন, তখনই তাঁদের উপর হামলা হয়। কল্যাণের অভিযোগ, তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করেছে তৃণমূলের ছেলেরা। দুটি পার্টি অফিসেও ভাঙচুর করা হয়। কল্যাণ বলেন, কেন মারধর করা হল, জানি না। আমাকেও মারা হয়েছে। আমি ইট, বালির ব্যবসা করি না। দলটা সিরিয়াসলি করি। মমতার আদর্শ মেনে চলি। আমার সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলেই শিক্ষিত, মার্জিত, পড়াশোনা জানা। এরকম চললে তো দলটাই করা মুশকিল।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: তারকেশ্বরে শুভেন্দুর মিছিল ঘিরে তুলকালাম
এদিনই দুপুরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের মেগা সমাবেশ ছিল। নেত্রী সেই সমাবেশে কী বার্তা দেন, তা নিয়ে সকলের আগ্রহ ছিল। মমতা সেখানে বলেন, মিডিয়া আমাদের মধ্যে ভাগাভাগি দেখাতে চাইছে। শতাব্দীর সঙ্গে অনুব্রতকে লাগিয়ে দিতে চায় মিডিয়া। আমার সঙ্গে অভিষেকের বিরোধ লাগাতে চায়। আমাদের মধ্যে কোনও ভাগাভাগি নেই। তার চেষ্টা করেও লাভ হবে না। এই সমাবেশে তৃণমূল নেত্রী বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বললেও বেহালার বাসিন্দা, জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও উচ্চারণ করেননি। বীরভূমের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে বার করে আনতে হবে। প্রশ্ন করেন, কি, পারবেন তো। নেত্রী পার্থর নাম একবারও উচ্চারণ না করায় বেহালার সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা হতাশ।