কলকাতা: বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে সরকার বিরোধী বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন আগামিকাল বুধবার দুঘণ্টার জন্য কর্মবিরতির (Cease work) ডাক দিয়েছে। বেলা দুটো থেকে চারটে পর্যন্ত সমস্ত সরকারি এবং আধা সরকারি অফিসে কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে কর্মী সংগঠনগুলি জানিয়েছে।
বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ২৭ জানুয়ারি থেকে শহীদ মিনার ময়দানের কাছে লাগাতার অবস্থান (Sit in demonstration) চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অবস্থান মঞ্চে যান সিপিএম সাংসদ (MP) এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্য। ডিএ মামলার শুনানি বকেয়া রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court)। এর আগে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT) রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে বলেছিল। তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার হাইকোর্টে (high court) যায়। হাইকোর্ট ডিএ মিটিয়ে দিতে বলে। ডিভিশন বেঞ্চেও রাজ্য সরকার হেরে যায়। পরে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন:Ranji Trophy: বাংলার পেসারদের দাপটে প্রথমদিনে ব্যাকফুটে ঝাড়খণ্ড
সরকারি কর্মচারীদের অবস্থান আন্দোলনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, যাঁরা অবস্থান চালাচ্ছেন, তাঁরা কেউ সরকারি কর্মী নন। সবাই সিপিএমের লোক। মঙ্গলবার পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, যাঁরা ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছেন, তাঁদের মনে রাখতে হবে, বর্তমানে রাজ্যের, দেশের এবং বিশ্বের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। তার উপর করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। দেশের জিডিপি শূন্যে নেমে গিয়েছিল। রাজ্য সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর কোনও মেশিন নেই। পাশাপাশি রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার অব্যাহত রাখতে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। এর জন্য ডিএ দিতে দেরি হচ্ছে। তিনি জানান, আর্থিক মন্দা কাটলে অবশ্যই ডিএ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৩ শতাংশ ডিএ পান। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা পান ৩১ শতাংশ ডিএ। অন্য সব রাজ্যেও সরকারি কর্মীদের ডিএ অনেক বেশি। সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন চালালেও বকেয়া ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ খোলেননি।