কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমশাই হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শান্তনু (Santanu Banerjee) তাঁর ছাত্র। শুক্রবার এই ভাষাতেই ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি (Firoj Edulji) আদালতে (Court) সওয়াল করলেন। এদিন নিয়োগ দুর্নীতি কতটা ব্যাপক তা বোঝাতে ইডির আইনজীবী বলেন, আমরা আগে জানিয়েছিলাম সোনার খনির মধ্যে প্রবেশ করেছি। অয়ন শীলের (Ayon Sil) গ্রেফতারের পর দেখা যাচ্ছে শুধু স্কুল নিয়োগ নয়, অন্য ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। এখন দেখছি এই খনি অসীম অনন্ত। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক, শান্তনু ছাত্র। পার্থ পথ দেখিয়েছেন, এরা অনুসরণ করেছে। আদালত থেকে বেরনোর সময় শান্তনু বলেন, আমি যদি দোষী হই, শাস্তি পাব। নির্দোষ হলে আগামী দিনে জানতে পারবেন।
ইডি জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগসাজশের একাধিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শান্তুনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তার ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলেরও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।কালো টাকা সাদা করতে একাধিক পথ অবলম্বন করেছিল শান্তনু। এজন্য ভুয়ো কোম্পানিও খোলা হয়েছিল। সেখানে ডামি ডিরেক্টরও নিয়োগ করা হয়। এদিন ইডির আইনজীবী জানান, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিতে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের টাকা ভুয়ো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে। ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে সম্পত্তি কেনা এবং কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ।শান্তনুর স্ত্রীর কী ভূমিকা ছিল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে? শান্তনুর স্ত্রীর নির্দিষ্ট কোনও ভূমিকা ছিল না বলে ইডিকে জানিয়েছে শান্তনু। নিয়োগ দুর্নীতি কোন দিকে যাচ্ছে তা বোঝাতে এদিন ইডির আইনজীবী ইঙ্গিত দেন, আরও বড় দুর্নীতির সন্ধান মিলতে পারে। এদিন তিনি বলেন, শীতের পর আসে বসন্ত। তারপর গরম এবং বর্ষার পর রামধনু। একটু ধৈর্য ধরুন, আমরা বসন্তে আছি। সেই রামধনুর কাছাকাছি পৌঁছেছি।এদিন শান্তনুর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের দাবি জানায় ইডি। শান্তনুর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শান্তনুর কিডনির সমস্যা আছে তাই জেল এ সঠিক শুশ্রুষার আবেদন জানান শান্তনুর আইনজীবী। এই সংক্রান্ত নথিও জমা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi | Mamata Banerjee| রাহুলের পদ খারিজের প্রতিবাদে মমতার টুইট
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই ঘটনার তদন্তে হুগলির তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের নাম উঠে আসে। তাঁকে গ্রেফতার করে উঠে আসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এরপর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতার করে উঠে আসে তার ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের নাম। এই সব দেখেই ইডি আদালতে বারবারই সোনার খনির উল্লেখ করছে।