কলকাতা: পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির (Ajit Maity) কুড়মি (Kurmi) সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কুড়মিদের নিয়ে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির বিতর্কিত মন্তব্যে শোরগোল পড়ে। সোমবার নবান্নে সোমবার নবান্নে (Nabanna) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, অজিত মাইতিকে ফোন করেছিলাম। ও আমাকে বলল আমি আসলে বলতে চেয়েছি অন্যভাবে। ওরা ঘুরিয়ে অন্যভাবে বলেছে। অজিত মাইতি যদি কিছু বলে থাকে বা তার বক্তব্যের যদি ভুল ব্যাখ্যা করে থাকে বিজেপি, আমি তাদের বলব ওই বক্তব্য আমাদের বক্তব্য নয়। আমরা কুড়মিদের যথাযোগ্য সম্মান করি। আমরাও আদিবাসীদের (Tribal) যথাযোগ্য সম্মান করি। আমরা সব ধর্ম, সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্মান করি। কেউ তাঁর বক্তব্যে ঘুরিয়ে বলার জন্য বা মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যদি মাহাতোরা দুঃখ পেয়ে থাকেন, আমি নিজে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এটা নিয়ে রাজনীতির জায়গা নেই।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে একটি সাধারণ সভাতে কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলন প্রসঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তিনি বলেছিলেন, কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতার মতো কুড়মিদের ভুল বোঝাচ্ছেন। আমরা ওদের এই আন্দোলনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করবো। তৃণমূলের এই বিধায়ক তথা দুই সাংগঠনিক জেলার কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির এই মন্তব্যতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় জঙ্গলমহলের কুড়মি সম্প্রদায়ের মধ্যে। প্রতিবাদ শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক মনে হওয়াতে রবিবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন- কুড়মি সম্প্রদায়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক কিছুই করেছেন। তাদের আঘাত করার মত কোনও ইচ্ছাই শাসকদলের নেই। অজিত মাইতি যে মন্তব্য করেছেন তা তার ব্যক্তিগত। দল এটাকে সমর্থন করে না। এই বিষয়ে দল তার পাশেও নেই।
আরও পড়ুন | Karnataka Assembly Election | কর্নাটকে প্রচার শেষ, জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে কংগ্রেস, গেরো জেডিএস
বারবার এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই শালবনিতে জঙ্গল মহলের কুড়মি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শালবনের কর্মী নেতা সুমন মাহাতো বলেন, অজিত মাইতি যে মন্তব্য করেছেন তা ধিক্কার যোগ্য। তার পাশেই সভাতে বসে ছিলেন আমাদের কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতা শ্রীকান্ত মাহাতো নিজেও। তিনি চুপ ছিলেন। দুজনের নামেই আমরা ধিক্কার পোস্টার লাগাচ্ছি শালবনির জঙ্গলমহল জুড়ে। দু’জনকেই ক্ষমা চাইতে হবে না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।