কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ( Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) জেরা করবে সিবিআই। অভিষেকের দেওয়া বয়ানের সঙ্গে এবার কুন্তলের বয়ান মিলিয়ে দেখতেই ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। জেলে গিয়েই কুন্তলকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শনিবারই দীর্ঘ নয় ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের শেষে বেরিয়ে এসে সংবাদি্কদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘সাড়ে ৯ ঘণ্টার সিবিআই (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য’। কিন্তুকেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখানেই থামতে নারাজ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের কুন্তলকে জেরা করে আরও বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইছে সিবিআই।
কুন্তলের চিঠির বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করতে শনিবার নিজাম প্যালেসে তবল অভিষেককে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও এসএসসি দুর্নীতিতে উঠে আসা আরও বেশ কয়েকজনের নাম সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয় অভিষেকের কাছে। অভিষেকের পুরো বয়ানই রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, চিঠি প্রসঙ্গে জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। সেই বয়ান কুন্তলের বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন: Bhangar TMC Inner Clash | ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
উল্লেখ্য, বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি ও সিবিআই জেরা করতে পারবে বলে। পাশাপাশি অভিষেক এবং কুন্তলকে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এরপর শনিবার সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন অভিষেক।
গত ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে ছাত্র যুব তৃণমূলের সমাবেশে অভিষেক দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে যখন মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষ ছিলেন, তখন তাঁদের চাপ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তারপরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ দাবি করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারপী সংস্থা তাঁকে দিয়ে জোর করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলানোর চেষ্টা করছে। ইডি-সিবিআই তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে। এই অভিযোগ তুলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এবং হেস্টিংস থানায় চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডি-র তরফে আদালতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি কুন্তল যে চিঠি লিখেছেন তা জেল কোড মেনে হয়নি। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদে স্থগিতাদেশ দেন। অভিষেকের মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে বিচারপতিী অমৃতা সিনহার এজলাসে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দিলেন, ইডি, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।