কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের কোনও ক্ষতি হলে আদালত তা বরদাস্ত করবে না। এই ভাষাতেই আন্দোলনকারীদের সতর্ক করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তিনি বলেন, আমি নিজেও কিন্তু পশুপ্রেমী। এটা মাথায় রাখবেন। চিড়িয়াখানা চত্বর সুরক্ষিত রাখতে হবে।
গত ২৪ জানুয়ারি ইউনিইয়নের দখলদারি নিয়ে চিড়িয়াখানার ভেতরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ওইদিন প্রচুর বহিরাগত ঢুকে হামলা চালায়। তা নিয়ে মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার আদালতের নির্দেশ, চিড়িয়াখানার ভেতরে বহিরাগত কারা আছে, সে ব্যাপারে বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। আলিপুর এবং ওয়াডগঞ্জ থানাকেও বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে। ওইদিনের ঘটনা নিয়ে থানায় যে সমস্ত অভিযোগ হয়েছে সেগুলি সম্পর্কে পুলিস কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা বুধবারের মধ্যে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতির প্রশ্ন, চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকা সত্বেও কারা কী করে ভিতরে আছে? করররতিপক্ষ ওই দিন এত লোককে ঢুকতে দিয়েছিল কেন? বুধবারের মধ্যে এসবের বিস্তারিত রিপোর্ট চিড়িয়াখানা কত্ত্রিপক্ষকে পেশ করতে হবে আদালতের কাছে।
আরও পড়ুন- Mamata Dhankhar: রাজ্যপাল ধনখড়কে টুইটারে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী
বেশ কিছুদিন ধরেই চিরিয়াখানায় কর্মচারীদের মধ্যে ইউনিয়ন দখল নিয়ে ঝামেলা চলছে। বিজেপি নেতা রাকেশ সিং কর্মী সংগঠনের নামে চিড়িয়াখানায় মৌরসিপাট্টা কায়েম করেছেন অনেক কর্মীর অভিযোগ। তৃণমূল অনেকদিন ধরে ওই কর্মী ইউনিয়ন দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে রাকেশের অভিযোগ। ২৪ জানুয়ারি তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে জোর সংঘর্ষ হয় চিড়িয়াখানার ভিতরে। দু পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে কয়েকজন পুলিসকর্মীও জখম হন।