কলকাতা: খাস কলকাতায় পুরোহিতকে বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে হাত-পা-মুখ বেঁধে মন্দিরে ডাকাতির অভিযোগ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে, কলকাতা কর্পোরেশনের ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডের নাদিয়াল থানার অন্তর্গত কাঞ্চনতলা শ্মশানঘাট কালী মন্দিরে। খোয়া গিয়েছে কয়েক ভরি সোনা ও রুপো।
মন্দিরের পুরোহিতের অভিযোগ, গতকাল রাতে মন্দিরের গ্রিল কেটে প্রথমে একজন মন্দিরে প্রবেশ করে। তারপর তাঁকে দিয়ে বলপূর্বক গেটের চাবি খুলিয়ে আরও তিনজন প্রবেশ করে। এরপর পুরোহিতকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর মুখ এবং হাত বেঁধে বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করা হয়। তারপরই মন্দিরের ঠাকুরের সোনা, রুপোর গয়না সহ প্রণামী বাক্স ভেঙে চলে লুটপাট। লুটপাট চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর পুরোহিত মন্দির ভিতর থেকে চিৎকার করতে থাকে। পিছনে থাকা একটি বাড়ির বাসিন্দা চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে আসে। তারপর পুরোহিতকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় নাদিয়াল থানার পুলিশকে।
আরও পড়ুন: টলিপাড়ায় অচলাবস্থা, আজ থেকে বন্ধ সিনেমা সহ সমস্ত ধারাবাহিকের কাজ
আনুমানিক রূপোর গয়না ১২ ভরি এবং সোনার গয়না ৩ ভরির মত খোয়া গিয়েছে। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা নগদও চুরি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত পুরোহিত সহ মন্দির কমিটির লোকজন ও এলাকাবাসী। পূলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের পিছনে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং লাইট ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। ৩০ বছর ধরেই মন্দিরে পুজো করছেন ওই পুরোহিত। তাঁর ভাইও থাকতেন মন্দিরের পিছনে একটি বাড়িতে। পুরোহিতের ভাই শনিবার সকালে পুজো করে চলে যান। ভাইয়ের মেয়ের পরীক্ষার জন্য তিনি বর্তমানে নেই। সিসিটিভি ক্যামেরা গুলি লাগানো হয়েছিল নাদিয়াল থানার তরফ থেকে। গোটা বিষয়ে তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি পুরোহিতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: