কলকাতা: রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্মরণ করিয়ে দিলেন, আমি কেবল বিরোধী দলনেতা। আমি সংগঠন দেখি না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই কথা বলে শুভেন্দু লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের দায় ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন। তবে বুধবার বৈঠক শেষে শুভেন্দুকে জবাব দিতে দেরি করলেন না দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে মনে করিয়ে দেন, শুভেন্দু কোর কমিটির একজন সদস্য। কোর কমিটিরও সাংগঠনিক দায়িত্ব থাকে।
এদিন কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ সবকা বিকাশ শীর্ষক স্লোগান বদলের যে ডাক শুভেন্দু দিয়েছেন, সুকান্ত-সহ অনেকেই তা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি। সুকান্ত বলেন, এটা দলের মত নয়। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও বলেন, বিরোধী দলনেতা যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। এটা দলের স্ট্যান্ড নয়। শমীকের মতে, বিজেপি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে নিয়ে রাজনীতি করে না। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি জাতীয়তাবাদী মুসলমানদের নিয়ে। শুভেন্দু অধিকারী আবেগের বশবর্তী হয়ে কিছু কথা বলেছেন। তার ব্যাখ্যা তিনি নিজেই দিয়েছেন। এ নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। বিরোধী নেতা দলের পরিকাঠামো বোঝেন। কেন তিনি এ কথা বলেছেন, তার যুক্তিও দিয়েছেন বিরোধী নেতা।
আরও পড়ুন: সবকা সাথ সবকা বিকাশ স্লোগান বন্ধ করতে বললেন শুভেন্দু
এদিন সাংবাদিকদের সামনে ভোটে বিপর্যয়ের জন্য দলীয় সংগঠনকে দুষেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান, পরাজিত প্রার্থী অর্জুন সিং প্রমুখ। রাজ্য সভাপতি নাম না করে তাঁদের উদ্দেশে বলেন, আমি সকলকে সম্মান জানিয়েই বলছি, ভোটে জেতার জন্য সংগঠনের কাজ থাকে ২৫ শতাংশ। জিতলে সংগঠন মজবুত। হারলে সংগঠন খারাপ। এই মনোভাব ঠিক নয়।
দলীয় বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে সুকান্ত বলেন, আমি মনে করি, বিজেপি ভোটে হেরেছে ঠিকই। কিন্তু তাই বলে হারিয়ে যায়নি। লোকসভা ভোটে আমাদের আসন কমে গেলেও ভোট বেড়েছে। শহরাঞ্চলে অনেক এলাকায় আমরা এগিয়ে রয়েছি। আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ হিসেবে দেখা উচিত।