কলকাতা: বেআইনি নির্মাণে ভরে যাচ্ছে কলকাতা। পুরসভা বারংবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু, ফাইল উধাও হওয়ার কারণে তিন বছর ধরে সম্পূর্ণ বেআইনি একটি বাড়ি নারকেলডাঙ্গা থানা এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চার মাসের মধ্যে বাড়িটি ভাঙতে বলল হাইকোর্ট।
২০১৭ সালে ওই বেআইনি নির্মাণ প্রথম নজরে আসে পুরসভার। নোটিশ সত্ত্বেও কাজ না থামায় হয় এফআইআর। ২০২০ সালে বিল্ডিং বিভাগের স্পেশাল অফিসার ২৭ ফেব্রুয়ারি বাড়িটি ভাঙ্গার নির্দেশ দেন। তারপরই তিনি বদলি হয়ে যান। সেই সঙ্গে ওই বাড়ি সংক্রান্ত ফাইলটিও উধাও হয়ে যায়। সাম্প্রতিক মামলা অনুযায়ী, তারপরেই চারতলা বাড়িটি হয়ে যায় পাঁচ তলা। ফ্ল্যাট হিসেবে বাড়ির প্রতিটি তলায় বাসিন্দারা ঢুকে পড়েন।
আরও পড়ুন: তাসের ঘর বানিয়ে গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কলকাতার কিশোরের
এই মামলার জেরে নতুন করে পুরসভা বিষয়টি অনুসন্ধান করে বেআইনি পঞ্চম তলের সন্ধান পায়। বাড়িটি ভাঙা সংক্রান্ত ফাইলটি মেয়র ইনকাউন্সিলের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা’র নির্দেশ, ঘর খালি করার জন্য ওই বাড়ির বাসিন্দাদের নোটিশ দেবে পুরসভা। স্বেচ্ছায় তারা না সরলে নারকেলডাঙ্গা থানা উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। ২০২০ সালের বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর না হওয়ার পিছনে দায়ি ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে পুরসভাকে ব্যবস্থা নিতে হবে। চার মাসের মধ্যে পুরো ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
উল্লেখ্য, বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ২০২১ সালেই পৌরসভা কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। সব বেআইনি নির্মাণকারীদের পাঁচ দিনের নোটিশ দিয়ে বিল্ডিং বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশ কার্যকর না হলে ওই ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বড়বাজার, বেলগাছিয়া, এন্টালি, ট্যাংরা পার্কসার্কা, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, ইএম বাইপাস সহ কলকাতার আরও বহু জায়গায় বেআইনি নির্মাণ হয়েই চলেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই অভিযোগ।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: