কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে। শুক্রবার নেতাইয়ে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই ঝিটকা জঙ্গলের কাছে শুভেন্দুকে আটকে দেয় পুলিশ। এই ঘটনার পর রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। কেন বিরোধী দলনেতাকে বাধা দেওয়া হল, তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে সোমবার রাজভবনে তলব করেন জগদীপ ধনখড়।
কিন্তু তাঁরা দুজনেই জানিয়ে দিয়েছেন, আইসোলেশনে থাকায় সোমবার যেতে পারবেন না। এর পর রাজ্যপাল শুভেন্দু ইস্যুতে কথা বলতে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে তলব করেন। টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, মুখ্যসচিব এবং ডিজি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা দুজনেই আইসোলেশনে থাকায় উপস্থিত হতে পারবেন না। সে কারণে তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে সমস্ত নথি নিয়ে নির্ধারিত বৈঠকে উপস্থিত হতে।
শুক্রবার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নেতাইয়ে শুভেন্দুকে আটকানোয় টুইট করে রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন রাজ্যপাল৷ গোটা ঘটনাকে জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি৷ এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক কাজিয়া৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিরোধী নেতার মতো আচরণের অভিযোগ তোলে তৃণমূল৷
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1480166033046401025?s=20
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির একজনকে আটকালেই তৎপর হন রাজ্যপাল৷ এই তৎপরতা অন্য রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দেখা যায় না৷ এটা প্রশাসনের ব্যাপার৷ প্রশাসন বুঝবে৷’ ৭ জানুয়ারি ছিল নেতাই শহিদ দিবস৷ সেখানে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে শুভেন্দু হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন৷ আদালত তাঁকে নেতাই যাওয়ার অনুমতি দেয়৷ কিন্তু শুভেন্দু নেতাই পৌঁছতে পারেননি৷ লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলের কাছে পুলিস তাঁকে আটকে দেয়৷ পুলিসের বাধার মুখে ফিরে আসেন শুভেন্দু৷ তারপরই তিনি রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানান৷