মহেশতলা: ঘুমের মধ্যেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু একই পরিবারের তিনজনের। শনিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার আক্রা এলাকায়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর মা ও দুই ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম সোমা মণ্ডল, সাহেব মণ্ডল এবং রাহুল মণ্ডল। কীভাবে আগুন লাগল বাড়িটিতে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট করেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মহেশতলার ওই বাড়িতে দুই ছেলেকে নিয়ে ছিলেন সোমা মণ্ডল। রাত ১১টা নাগাদ সোমার বাড়িতে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। ততক্ষণে অবশ্য ওই বাড়ির বেশিরভাগ অংশই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বাড়ির আগুন পুরোপুরি নেভান দমকল কর্মীরা। তবে ওই ঘর থেকে চেঁচামেচির কোনও আওয়াজ না পাওয়ায় বোঝা যাচ্ছিল না ঘরের মধ্যে কেউ আছে কি না। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর একটি ঘরের ভিতর থেকে মা ও দুই ছেলের ঝলসানো দেহ উদ্ধার করে পুলিস। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Behala TMC Clash: বেহালায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মারামারির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপান গ্রেফতার
কীভাবে ওই বাড়িটিতে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রশ্নও উঠে আসছে। আগুন লাগলেও কেন টের পেলেন না সোমা? সাহায্যের জন্য কেনই বা চিৎকার করলেন না? এদিকে দুর্ঘটনার বাড়িতে ছিলেন না বলে দাবি করছেন সোমার স্বামী। দুর্ঘটনার সময় তিনি কোথায় ছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সত্যিই দুর্ঘটনা না কি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এইসব সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।