কলকাতা: রাজ্যের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) এবং রায়াত হোসেন সরকারের (Rayat Hossain Sarkar) শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা কেটেও কাটল না। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভায় এ দু’জনের শপথগ্রহণে কোনও অসুবিধে নেই। তবে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Ashis Banerjee)। কিন্তু গোল অন্য জায়গায়। রাতে আশিস বলেন, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যপালের চিঠি পাইনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্পিকার থাকতে আমি এই দায়িত্ব নিতে পারব না। তাঁকে অসম্মান করা হচ্ছে। চিঠি পেলেও আমি তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করব। রাতেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজভবন কিছু জানায়নি। কাল বিধানসভা ডাকা হয়েছে। যা হওয়ার কালকে হবে। বৃহস্পতিবার রাজভবনের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে রাজ্যপাল বিধায়কদের শপথগ্রহণে রাজ্যপাল এবং বিধানসভার কী ভূমিকা তা সংবিধান তুলে ধরে বুঝিয়েছেন।
সায়ন্তিকা এবং রায়াতের শপথ গ্রহণের জটিলতা চলছে অনেকদিন ধরে। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। বরাহনগর থেকে জিতেছিলেন সায়ন্তিকা এবং মুর্শিদাবাদের ভগবান গোলায় জেতেন রায়াত। প্রথম থেকেই তাঁদের দাবি ছিল, রাজভবন নয়, বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় শপথ নিতে চান। রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে তাঁদের শপথগ্রহণ করাতে পারেন কিংবা, তিনি অন্য কাউকে এই দায়িত্ব দিতে পারেন। কিন্তু এ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে তুমুল টানাপোড়েন শুরু হয়। এতদিন পর রাজ্যপালের নির্দেশে জট কাটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু এখনও দোলাচল রয়েছে।
এদিকে এই টানাপোড়েনের মধ্যে হঠাৎ করেই শুক্রবার বিশেষ অধিবেশন অধিবেশন ডেকেছেন স্পিকার। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবারের বিধানসভা অধিবেশন ‘ভেরি ভেরি স্পেশাল’। মনে করা হচ্ছে, এই ‘বিশেষ অধিবেশন’ সম্ভবত রাজ্যপালকে বাদ রেখেই দুই বিধায়ককে শপথগ্রহণ করানোর জন্য ডাকা হয়েছে। স্পিকার আইন ঘেঁটে জেনেছেন, এটা করা যেতে পারে। তবে ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে এই ঘটনা নজিরবিহীন।
দেখুন অন্য খবর: