কলকাতা: প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাতে নিজাম প্যালেস ছাড়লেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি। সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্য দুজনেই কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি মামলায় এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিকেল ৫.৩০ এর মধ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলেন। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে এফআই করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরা তদন্তে অসহযোগিতা করলে সিবিআই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও আদালত জানিয়ে দেয়।
এদিন আদালত আরও জানায় ২০১৭ সালে পর্ষদ নিয়োগের যে দ্বিতীয় তালিকা করেছিল তা সম্পূর্ণ বেআইনি। ওই তালিকা অনুযায়ী, ২৬৯ জনের চাকরিও হয়ে গিয়েছিল। এদিন আদালত অবিলম্বে ওই ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ জারি করে। আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন বিকেল ৫.৩০ এর আগেই মানিক এবং রত্না নিজাম প্যালেসে হাজির হয়ে যান। মানিক নদিয়ার নাকাশিপাড়ার তৃণমূলের বিধায়কও বটে। এদিন তিনি বিধানসভাতেই ছিলেন। বিধানসভা থেকে সরাসরি নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি।
আরও পড়ুন- WB Assembly: আচার্য বিলে ভোট নিয়ে নজিরবিহীন বিভ্রাট,তদন্তের নির্দেশ অধ্যক্ষের