কলকাতা: রামপুরহাট-কাণ্ডে (Rampurhat political violence) কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান (সিট) জ্ঞানবন্ত সিংয়ের (Gyanwant Singh) নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উঠে এসেছে রিজওয়ানুর রহমানের প্রসঙ্গও। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার রায়ে বলেছে, ২০০৭ সালে রিজুওয়ানুর খুনের ঘটনায় জ্ঞানবন্ত সিংয়ের ভূমিকা প্রশ্নাতীত ছিল না।
সেই কারণে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাঁকে সমস্ত কাজের বাইরে রাখা হয়েছিল। এছাড়া ১৩০০ কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারির জন্য ইডি জ্ঞানবন্ত সিংকে তলব করেছিল। যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, তাঁর বিরুদ্ধে রিজওয়ানুর-কাণ্ডে কোনও চার্জশিট দেওয়া হয়নি। আদালত মনে করছে, তা না হলেও বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে। সওয়াল জবাবে সে কথাও বার বার শোনা গিয়েছে।
রায়ে আদালত আরও জানিয়েছে, তারা সিটের কেস ডায়েরি নিখুঁত ভাবে খতিয়ে দেখেছে। ২২ মার্চ সিট (SIT) গঠিত হলেও তারা তদন্তে কোনও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেনি। ঘটনাস্থলের খুব কাছেই রামপুরহাট (Rampurhat) থানা। তা সত্ত্বেও এতগুলো মানুষ অগ্নিদ্বগ্ধ হওয়ার পরেও পুলিস সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি। আবেদনকারীদের আইনজীবীরা তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও অনেক প্রশ্ন তুলেছে। সব দিক বিবেচনা করেই আদালত তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিচ্ছন্ন তদন্ত এবং সমাজের আস্থা অর্জন করার জন্যই সিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence HC: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
শাসকদলের দাবি, সিটের তদন্ত সঠিক পথেই দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল। সিবিআই তদন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চালিত করলে তার প্রতিবাদ হবে বলে জানিয়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কলকাতার মেয়র এবং পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, সিবিআইয়ের তদন্তও পক্ষপাতিত্বমূলক হয়। তিনি বলেন, সিবিআই পক্ষপাতদুষ্ট বলেই আমাকে জেল খাটতে হয়েছিল এবং শুভেন্দু অধিকারী জেলের বাইরে থেকে গিয়েছে।