কলকাতা: সিকিমের (Sikkim) মুখ্য সচিব (Chief Secretary) শ্রী বিজয় ভূষণ পাঠকের ফোন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। রাজ্যের সহযোগিতা চাইলেন সিকিমের মুখ্য সচিব। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং এই তিন জেলাশাসককে (DM) সতর্ক করলো নবান্ন (Nabanna)। এখনো পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদস্থানে সরানো হয়েছে। এনডিআরএফ পাঠানো হচ্ছে। শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার থেকে এনডিআরএফ টিম যাচ্ছে তিস্তা সংলগ্ন একাধিক এলাকায়। তিন জেলার জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকা মনিটরিং করতে। জলপাইগুড়িতে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও দার্জিলিং ও কালিম্পং বিশেষত কালিম্পং এর পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নবান্ন।
গতকাল রাত দুটোর সময় সিকিমের মুখ্য সচিব ফোন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে। সিকিম এর পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ফোন করেছিলেন তিনি। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। আরও উদ্ধার কার্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন জেলার জেলাশাসককে।সেনাবাহিনীর জওয়ানরা নিখোঁজ হয়েছেন সেই বিষয় সম্পর্কে সিকিমের মুখ্য সচিব জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে।
আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টিতে অচল মহানগর, বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল
এদিকে সারা রাত বৃষ্টি হওয়ার জন্য কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় জল জমে গিয়েছে। যার ফলে রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে জেলাগুলিতেও খারাপ পরিস্থিতি। বৃষ্টি এবং জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার কারণে রাজ্যের অন্তত সাতটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৎপর প্রশাসন। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোচবিহার, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, পুরুলিয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় ৩৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
আরও খবর দেখুন