কলকাতা : শেক্সপীয়র সরণি-তে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দুধকুমার ঢলকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত দুধকুমার ঢল পেশায় ড্রাইভার। মৃতার বাড়িতেই লকডাউনের আগে জিনিসপত্র চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিল সে। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার জিনিস চুরির অভিযোগে তাঁকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুনরায় কাজে নেওয়ার জন্য ওই ড্রাইভার গত ৬ মাস ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তবে তাঁকে কাজে নেওয়ার বিষয়ে বৃদ্ধা বা তাঁর ছেলে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তার পর থেকেই সুযোগ খুঁজছিল সে।
মঙ্গলবার শেক্সপিয়ার সরণির একটি বহুতল থেকে উদ্ধার এক বৃদ্ধার মৃত দেহ। বহুতলের ন’তলার ফ্ল্যাটে অচৈতন্য অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে হাঁটতে বেড়িয়েছিলেন বৃদ্ধার ছেলে অভয় চৌধুরী। তিনি বাড়ি ফিরে এসে দেখতে পান ঘরের মধ্যে মা পড়ে রয়েছেন। রক্তের দাগও দেখতে পান তিনি। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন অভয়।
এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান লাল বাজারের গোয়েন্দারা। ছিলেন সিপি মুরলিধর শর্মা, গোয়েন্দা বিভাগের দেবস্মিতা দাস এবং দক্ষিণের ডেপুটি কমিশনার আকাশ মাঘারিয়া। এরপর মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ওই বৃদ্ধাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে৷ পুলিশের অনুমান, সোমবার রাত ১২টার পরেই বৃ্দ্ধাকে খুন করা হয়েছে৷
ওই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে ঘটনার আগের দিন সন্ধে ৭ টার সময় তাকে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। ঘটনার পর বেশ কিছু সোনা এবং হীরের গয়না, আই ফোন, রেডমির অ্যান্ড্রয়েড ফোন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চৌধুরী পরিবারের প্রাক্তন ড্রাইভারকে মঙ্গলবার ডানকুনি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত।
এই খুনের ঘটনায় আরও কেউ আছে কিনা। শুধুমাত্র লুঠের জন্য এই খুন নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে সেই তদন্ত করতে আদালতের কাছে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছিলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। ব্যাঙ্কশাল আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।