২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে (Ukraine) সেনা পাঠিয়েছিল রাশিয়া (Russia)। তারপর কেটে গেছে আটটা মাস। ইউক্রেনের একের পর এক শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে বহু সেনা এবং সাধারণ মানুষের। তবে ইউক্রেনই একা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন নয়, রক্ত ঝরেছে পুতিনের (Vladimir Putin) সেনারও। আমেরিকার (US) শীর্ষ প্রতিরক্ষা আধিকারিক ডেভিড মাইলি (David Milley) বুধবার জানালেন, এ পর্যন্ত এক লক্ষের বেশি রাশিয়ান সেনা হত কিংবা আহত হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের (New York) ইকোনমি ক্লাবে এক ভাষণে মাইলি এও জানান, কিয়েভের (Kiyv) নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষেত্রেও হিসেবটা প্রায় একই। আধিকারিকের দেওয়া এই হিসেব এ যাবত আমেরিকার দেওয়া সবথেকে যথাযথ বলে মনে করা হচ্ছে। মাইলি এও জানিয়েছেন, আট মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধের পর এবার যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সামরিক উপায়ে যে জেতা সম্ভব না তা বুঝে গিয়েছে দুই পক্ষই।
আরও পড়ুন: Earthquake in Arunachal: ফের ভূমিকম্প, এবার কাঁপল অরুণাচল প্রদেশ এবং আন্দামান
মার্কিন আধিকারিক বলেন, সামরিক জয় বলতে যা বোঝায় ঠিক তা অর্জন করা তা বুঝতে হবে পারস্পরিকভাবেই। তার ফলে অন্য পন্থা অবলম্বন করার দিকে ঝুঁকতে হবেই। এবার সেরকম একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
অতি সম্প্রতি দক্ষিণ ইউক্রেনের খারসন (Kherson) শহর থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। তারপরেই এই মন্তব্য করলেন মার্কিন আধিকারিক। তবে ক্রেমলিন (Kremlin) সেনা সরানোর নির্দেশ দিলেও সতর্ক কিয়েভ। তারা জানাচ্ছে, নির্দেশ সত্ত্বেও এলাকা ছাড়তে চাইছে না সেনা। এদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে মস্কো যে চাপে তার প্রমাণ এই সেনা প্রত্যর্পণ।