নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে ‘মৃত’ ব্যক্তির চিকিৎসার জন্যও টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্টে। প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনায় এভাবে ৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে ক্যাগ রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রায় ৩৪৪৬ জন রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর পরও টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঘরে টাকা ঢুকেছে বলে ক্যাগ রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ডেটাবেসে এইসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। তাও কী করে টাকা বরাদ্দ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে এরকম অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে ক্যাগ রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ মানুষের নাম নথিভুক্ত আছে, যাঁদের দেওয়া একটিই মোবাইল নম্বর অচল। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনা চালু হয়েছিল। গ্রাম অথবা শহরের গরিব মানুষের বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প চালু করে।
আরও পড়ুন: আর্থিক তছরুপের মামলায় বড় স্বস্তি জ্যাকলিনের
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ডেটাবেস অডিট করতে গিয়ে ক্যাগ দেখে যে, সেখানে অগুনতি অনিয়ম রয়েছে। প্রকল্পের লেনদেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে দেখা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন এমন রোগীর ক্ষেত্রেও চিকিৎসার টাকা অনুমোদন বা বরাদ্দ করা হয়েছে। কয়েক হাজার মৃত ব্যক্তিকে এই খাতে টাকা দেওয়া হয়েছে হাসপাতালকে। অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, এরকম ৩৪৪৬ জনের জন্য ৬.৯৭ কোটি টাকা গিয়েছে।
এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কেরল। মোট ৯৬৬ জন রোগীকে মৃত্যুর পরেও চিকিৎসা খরচ দেওয়া হয়েছে। এরপর রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, সংখ্যাটি ৪০৩ এবং ছত্তিশগড় ৩৬৫ জন। ক্যাগ রিপোর্টে এও উল্লেখ রয়েছে, ২০২০ সালে এ বিষয়ে ন্যাশনাল হেল্থ অথরিটিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস পর এনএইচএ জানায়, ডেটাবেসের ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে। এরপর থেকে মৃত ব্যক্তির চিকিৎসার ক্ষেত্রে আর এই ভুল হবে না। কিন্তু এই আশ্বাস যে কার্যকর হয়নি, এই রিপোর্টই তার প্রমাণ। মৃত্যুর পরেও চিকিৎসা খাতে কয়েক কোটি টাকা জলে গিয়েছে নাকি এর পিছনে নতুন কোনও ঘোটালা আছে?