ভাটিন্ডা: গুলি করে চার সহকর্মীকে খুনের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের এক সেনা জওয়ান নিজেকে গুলি করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। পঞ্জাবের (Punjab) সেনা ঘাঁটি ভাটিন্ডায় (Bathinda) পরপর দুদিন এ ধরনের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ঘটনার সঙ্গে আগের দিনের কোনও সম্পর্ক নেই। লঘুরাজ শঙ্কর নামে ওই জওয়ান কর্তব্যরত অবস্থায় নিজেকে গুলি করেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই জওয়ান আত্মঘাতী হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের (Panjab) ভাটিন্ডার (Bhatinda) সেনা (Military) ঘাঁটিতে তারই আগের দিন সহকর্মীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ পঞ্জাবের ভাটিন্ডার সামরিক ছাউনিতে গুলি চলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। গুলি চলার ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনার দক্ষিণ-পশ্চিম কমান্ডের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ গুলি চলে।
বিবৃতিতে সেনা আরও জানিয়েছে, গোটা এলাকা সিল করে তল্লাশিতে নেমেছে কুইক রেসপন্স টিম (QRT)। তবে গুলি চলার কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এ ব্যাপারে সেনার তরফে বিবৃতিতে কিছু জানানো হয়নি।
ভাটিন্ডার এসএসপি গুলনীত খুরানা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কোনও সেনা জওয়ান গুলি চালিয়েছেন। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাকিরা। উল্লেখ্য, এর আগেও এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পঞ্জাব। এক সেনা জওয়ান (Army Jawan) হঠাৎই নিজের বন্দুক থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দেন। মোট তিনজনের গুলি লাগে। সকলের নজর এড়িয়ে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী সময়ে পঞ্জাব পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ওই জওয়ান। সেই ঘটনার স্মৃতিই ফিরল ভাটিন্ডায়। প্রাথমিক তদন্ত সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তবে এই দুই ঘটনার সঙ্গে খলিস্তানপন্থী অমৃতপাল সিং বা ওয়াড়িশ পঞ্জাব দে-র কোনও সম্পর্ক নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। কারণ, বৈশাখীর আগে ভাটিন্ডায় জমায়েত করার ডাক দিয়েছিল অমৃতপাল সিং। যদিও পুলিশের নাগাল থেকে সে এখনও অধরা। সম্প্রতি তার ঘনিষ্ঠ শাগরেদ পিপ্পলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল পান্ডার নাগাল পাওয়ার চেষ্টা চললেও এই ঘটনায় পঞ্জাব পুলিশের অকর্মণ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।