বোলপুর: সমাবর্তন অনুষ্ঠানের এক দিন আগে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakrabarty)। বুধবার সাপ্তাহিক মন্দিরের উপাসনায় তিনি বলেন, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত। তাঁরা নিজেদের পরিচিতি আরও বাড়ানোর জন্য শব্দবাণের দ্বারা বিশ্বভারতীকে কলুষিত করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
উপাচার্যের ভাষায়, এঁরা হলেন বুড়ো খোকা। বুড়ো বয়সে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে এঁদের। বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) কোনও কাজে এঁদের পাওয়া যায় না। পাশাপাশি তিনি আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের পুঁথিগত বিদ্যা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সমাবর্তনের ঠিক আগেই আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের আক্রমণ করে ফের নতুন বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
আরও পড়ুন: Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আরও বাড়ল বরাদ্দ, জেনে নিন বিস্তারিত
২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানানো হয়। এবার সমাবর্তনে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও থাকতে পারেন ওই অনুষ্ঠানে।
প্রসঙ্গত, পড়ুয়াদের একাংশের ধারাবাহিক আন্দোলনের কারণে গত ডিসেম্বরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ১১ ডিসেম্বরের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের। সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, সমাবর্তন হবে না।
সম্প্রতি নানা কারণেই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত হয়ে উঠেছেন। সেই কারণে রাজ্য সরকারের সঙ্গেও পদে পদে বিরোধ বাঁধছে উপাচার্যের। তৃণমূল তো প্রকাশ্যেই উপাচার্যকে বিজেপির লোক বলে দাবিয়ে দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন কথাবার্তা নিয়েও বিতর্ক লেগেই রয়েছে। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের সঙ্গেও তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে। তা নিয়ে এখনও দু’পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এই আবহে সমাবর্তনের আগে আবারও নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কাদের খুশি করতে চাইছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।