অ্যানা ফ্রাঙ্ক। এই নামটি শুনলেই মনে পড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা। মনে পড়ে জার্মানিতে নৃশংস নাজি অত্যাচারের কথা। একটি ক্যাম্পের মধ্যে আটকে রেখে নৃশংসভাবে মানুষকে মেরে ফেলা হত। অত্যাচারের হলোকাস্টের সেই বর্ণনা একটি ডায়েরির সূত্রে আজ সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। অ্যানা ফ্রাঙ্কের সেই ডায়েরির লাইনে একটি নামও ছিল। সেই নাম হান্না গোসলার। তিনি ছিলেন অ্যানার ছোটবেলার বান্ধবী। জেরুজালেমের বাসিন্দা সেই গোসলারের মৃত্যু হল ৯৩ বছর বয়সে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, এই হান্না কিন্ডারগার্টেনে অ্যানা ফ্রাঙ্কের সঙ্গে পড়ত। দুই বান্ধবীর মিল ছিল খুব। ১৯৪২ সালে অ্যানা ফ্রাঙ্কের পরিবার আত্মগোপনে থাকার সময় থেকে দুজনের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৯৪৫ সালে অ্যানার মৃত্যুর আগেও তাঁর সঙ্গে ক্যাম্পে দেখা হয়েছিল হান্নার। আমৃত্যু সেই স্মৃতিচারণ করে গিয়েছেন হান্না।
আরও পড়ুন Sun Is Smiling: অবাক করা ছবি তুলল নাসা, দেখে নিন সূর্যের ‘হাসিমুখ’!
১৯২৮ সালে জার্মানিতে জন্ম গোসলার। ১৯৩৩ সালে নাজি জার্মানি ছেড়ে তাঁদের পরিবার চলে যায় আমস্টারডাম। সেখানেই একটি স্কুলে ফ্রাঙ্কের সঙ্গে তার দেখা হয়। ১৯৪২ সালে ফ্রাঙ্কের পরিবার আত্মগোপন করলে দুই বন্ধুর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ১৯৪৩ সালে গোসলারও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁকে বার্জেন বলসেন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। গোসলার এবং তাঁর বোন গাবি, পরিবারের এই দুজন মাত্র ওই নাজি ক্যাম্প থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। পরে গোসলার জেরুজালেম চলে যান। সেখানে ওয়াল্টার পিক নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। অ্যানা ফ্রাঙ্ক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোসলারকে অ্যানা কখনও হান্না, কখনওবা হান্নেলি নামে ডাকতেন বলে ডায়েরিতে লিখেছেন। সেই হলোকাস্টের কথা সবাই জানুক এটাই চাইতেন গোসলার।