রিয়া মাজী: দিল্লিতে (Dilhi) ইডির (ED) অবাঙালি অফিসারদের সঙ্গে টানা বাংলাতেই কথা বলছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ইডি সূত্রের খবর, এক অফিসার অনুব্রতকে বলেন, থোরা হিন্দি মে বলিয়ে। তার উত্তরে কেষ্ট বলেন, আমি হিন্দি-টিন্দি জানি না। সারাজীবন মেঠো রাজনীতি করেছি। তাই যা বলার বাংলাতেই বলব। বেগতিক দেখে অনুব্রতকে জেরা করার জন্য ইডির দুই বাঙালি অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে জেরা করার জন্য ইডি ঝানু অফিসারদের যে টিম গঠন করেছে, তাতে ওই দুই বাঙালি অফিসারকেও রাখা হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই কেষ্টকে জেরা শুরু করেছেন ইডির অফিসাররা। সূত্রের খবর, ইডির অবাঙালি অফিসাররা হিন্দিতে যে প্রশ্নই করছেন, অনুব্রত তার জবাব দিচ্ছেন বাংলাতে। ফলে তাঁর কথা এক বর্ণ বুঝতে পারছেন না ওই অফিসাররা। তাতে বেশ বিড়ম্বনাতেই পড়েছে ইডি। শেষে বাঙালি অফিসারের খোঁজ পড়ে। ঠিক হয়েছে দুই বাঙালি অফিসারকে ইডির টিমে রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ বিমানে অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছয় ইডির টিম। রাতেই রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ইডির সদর দফতরে নিয়ে আসা হয় কেষ্টকে। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রাকেশ সিংয়ের বাড়িতেই এজলাস বসানো হয়। ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করানো হয় অনুব্রতকে। ইডির আইনজীবীরা তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু অতদিনের আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত। কেষ্টকে তিন দিন ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় ওই আদালত। তখন থেকেই কেষ্টর ঠিকানা হয় দিল্লিতে ইডির সদর দফতর।
বুধবার সকালে আরও একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় তৃণমূল নেতার। তারপরই শুরু হয় ইডির ম্যারাথন জেরা। আদালতের নির্দেশ, প্রতিদিনই অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। সেই মতোই দিন তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেডিক্যাল টিম। সূত্রের খবর, রাতেও অনুব্রতকে জেরা করা হয়। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেন এখন তিহার জেলে রয়েছেন এই গরু পাচার মামলাতেই। অনুব্রতকে সায়গলের মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করার কথা চিন্তাভাবনা করছে ইডি।