কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) নিয়োগে স্বচ্ছতা দাবি করে মামলা করলেন কোচবিহারের শিক্ষিকা ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। ববিতাকে টপকে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি হয় কোচবিহারের একটি স্কুলে। সেই নিয়োগকে কেন্দ্র করে ববিতা মামলা করেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল হয়। সেখানে চাকরি পান ববিতা। এবার ববিতার নিয়োগ ঘিরেও বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ নয়, হবে ৩১। বিতর্ক দেখা দিয়েছে তা নিয়ে। ববিতা সেই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মামলা করেন সোমবার। বুধবার সেই মামলার শুনানি। ববিতা জানান, প্রয়োজন হলে তিনি চাকরি ফিরিয়ে নেওয়ারও আবেদন রাখবেন।
এদিন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ববিতার মামলার শুনানি চলাকালে কমিশনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি চাকরি পান। কিন্তু পরবর্তীকালে কমিশনের পোর্টালে বিস্তারিত তথ্য-সহ তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, ববিতার আগে অন্য প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য। আইনজীবীর দাবি, কমিশনের ভুলের জন্য এই হয়রানির শিকার ববিতা।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Live: নজরুল মঞ্চের কর্মিসভায় কী বক্তব্য মমতার
কমিশন সূত্রের খবর, ববিতা সরকার-সহ অনেকেরই অ্যাকাডেমিক স্কোর নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশে চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই বিভ্রাম্তির শিকার। কারও নম্বর কমেছে, কারও নম্বর বেড়েছে বলে অভিযোগ। অ্যাকাডেমিক স্কোরে ববিতার নম্বর হবে ৩১, কিন্তু তিনি পেয়েছেন ৩৩। আদালত সূত্রের খবর, ববিতা ২ নম্বর কম পেলেও প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি ফিরে পাওয়ার কোনও সুযোগই নেই। কারণ তিনি পার্সোনালিটি টেস্টেই (Personality Test) বসেননি। তবে ববিতা ২ নম্বর কম পেলে মেধা তালিকায় অদলবদল ঘটতে পারে।