কলকাতা: শক্তি বাড়িযে প্রবল গতিতে বাংলাদেশের কক্সবাজার মায়ানমারের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে মোকা ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Mocha)। মোকার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিমি। ঘূর্ণিঝড় মোকা’র এ রাজ্যে আছড়ে পড়ার কোনও পূর্বাভাস নেই। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় এরাজ্যের আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস না থাকলেও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুত রাজ্য সরকার। উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন রাখা হচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের উপকূল দীঘায় মোট ৮টি দল এবং ২০০ জন উদ্ধারকারীকে পাঠিয়েছে এনডিআরএফ (National Disaster Response Force)।
যেকোনও রকম পরিস্থিতির মোকাবিলার সরঞ্জাম সহ দলটিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১২ থেকে ১৪ মে মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর। যাঁরা আগেই বেরিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের ১১ মে’র মধ্যেই স্থলভাগে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মূল প্রশাসনিক ভবনে ২৪ ঘন্টার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এছাড়াও উপকূলের ২২৩টি পঞ্চায়েতে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে লালবাজার (Lalbazer) থেকেও কন্ট্রোলরুমের (Control room) মধ্য থেকে বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রবল শক্তি বাড়িয়ে মোকা বাংলাদেশ-মায়ানমারের দিকে এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় এর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। যদিও মোকা নিয়ে দেশের যে কটি রাজ্যকে মৌসম ভবন সতর্ক করেছে, তার মধ্যে বাংলাও রয়েছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতিতে রাজ্যের তরফে কোনও ফাঁক ফোকর রাখা হচ্ছে না।
আলিপুর জানিয়েছে, শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। শনি ও রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ও বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারই বজ্রবিদ্যুৎ -সহ বৃষ্টি (Rain) শুরু হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ৯টি জেলায়। শনিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে কলকাতা-সহ মোট ৮টি জেলায়।