কলকাতা: ২০২২ সাল প্রায় শেষের পথে। ডিসেম্বর শেষ হতেই চলল বলা চলে। বছর ঘুরলেই সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) এখনই দিনক্ষণ জানায়নি ঠিকই, কিন্তু ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধীরা, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ও অঞ্চলে রাজনৈতিক জনসভা হচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রচারও চলছে রাজ্যের জনতাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটবাক্সে পাশে পেতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য চরম পর্যদুস্ত হওয়া বিজেপি (BJP) পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। দলের কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহিত করতে কখনও কখনও আক্রমণাত্মক ভাষাও বেছে নিচ্ছেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা।
রবিবার লেক টাউনে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। রাজ্যের আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের (Party Workers and Supporters) উদ্দেশে মারের বদলে পাল্টা মার দেওয়ার নিদান দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। তাঁর বক্তব্য, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীর কর্মীদের গায়ে হাত পড়লে, মারের বদলে মার হবে। মারের বদলে মার দেওয়ার পর বাকিটা দল দেখে নেবে।
আরও পড়ুন: Bogtui Lalan House Theft: বগটুইয়ে সিবিআইয়ের সিল করা বাড়িতে চুরির অভিযোগ তুললেন লালনের স্ত্রী
চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে বিজেপি নেত্রী দলীয় কর্মীদের চা বিতরণ করেন। সেখানে দলীয় কর্মীদের (Party Workers) পাল্টা মার দেওয়ার নিদান দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ সমালোচনা করেছে।
বিজেপি বিধায়কের এইসব মন্তব্যের জেরে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিন্তু শাসকদল তৃণমূল (TMC) কী বলছে? মন্ত্রী সুজিত বসু বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস মারে নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।