চেন্নাই: ফের খবরে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। বেঙ্গালুরু দক্ষিণ লোকসভার সাংসদের (Bengaluru South Lok Sabha MP Tejasvi Surya) বিরুদ্ধে অভিযোগ (Alleagation), অনুমতি ছাড়াই (Authorisation) ইন্ডিগো বিমানের (IndiGo Aircraft) এমার্জেন্সি এগজিট (Emergency Exit) খুলে ফেলেছিলেন তিনি। গত বছর ১০ ডিসেম্বর চেন্নাই বিমানবন্দরে (Chennai Airport) এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader)। এর জেরে বিমানটি ছাড়তে দুই ঘণ্টা দেরি (Delay) হয়েছিল। যদিও এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে চেন্নাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (Chennai Airport Authorities) এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (Directorate General of Civil Aviation – DGCA) আধিকারিকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে সেদিন এক বিমানযাত্রী (Passenger) সংশ্লিষ্ট বিমানের এমার্জেন্সি এগজিট খুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু ওই যাত্রী তেজস্বী সূর্য ছিলেন কিনা, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা। অবশ্য ওই বিমানে সওয়ার এক যাত্রীর দাবি, বিমানের এমার্জেন্সি এগজিট খুলে ফেলা ব্যক্তি তেজস্বীই ছিলেন এবং এর জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন ওই কাণ্ড ঘটানোর পর।
কিন্তু এই কাণ্ড কেন ঘটালেন বিজেপি নেতা? প্রত্যক্ষদর্শীর (Eyewitness) বক্তব্য, বিমান ছাড়ার আগে কেবিন ক্রিউ (Cabin Crew) যাত্রীদের সেফটি প্রোটোকল (Safety Protocol) সম্পর্কে বোঝাচ্ছিলেন, সেই সময়ই ওই কাণ্ড ঘটান বিজেপি সাংসদ (BJP MP)। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ঘটনার একমাস পর এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর চাউর হয়েছে। এতদিন এবিষয়ে কিছু জানা যায়নি। সম্প্রতি অপ্রীতিকর আচরণ (Unacceptable Behaviour)-এর দায়ে ইন্ডিগো ছয় মাসের জন্য তাদের বিমানে চড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ (Impose Ban) করেছে কমেডিয়ান কুণাল কামরার (Comedian Kunal Kamra) উপর। তিনিই তেজস্বী সূর্যের কাণ্ডটি সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) সবার প্রথমে তুলে ধরেন। মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে (Micro-blogging Website) কুণাল কামরা (Kunal Kamra) টুইট করেছিলেন, সেদিন ফ্লাইট ৬ই৭৩৩৯ (flight 6E7339)-তে কোনও একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি (Powerful Person) ছিলেন। ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেওয়া পর তাঁকে ওই বিমানে উঠতে দেওয়া হয়েছিল। টুইটে তিনি তেজস্বী ও ইন্ডিগো বিমান সংস্থাকে ট্যাগ করেছিলেন।
জানা গিয়েছে, তেজস্বী সেদিন এমার্জেন্সি এগজিট খুলে ফেলার পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (Central Industrial Security Force – CISF) দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় এবং বিমানটির উড়ানযোগ্যতা নিশ্চিত করে ছাড়তে দুই ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। যেহেতু এটি নিয়ম লঙ্ঘন ছিল, তাই বিজেপি সাংসদকে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। ওই বিমানে তাঁকে যাত্রা করার অনুমতি দেওয়া হলেও, তাঁকে পিছনে বসার অনুরোধ জানানো হয়। ওই বিমানের এক যাত্রীর দাবি, সেদিন বিজেপি সাংসদ তেজস্বীর সঙ্গে ছিলেন তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই (Tamil Nadu BJP President K Annamalai)।