কলকাতা: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Scam) সিবিআই (CBI) তল্লাশি। বুধবার সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে সিবিআই প্রতিনিধিরা হানা দেন। সিবিআই সূত্রে খবর, ৬-৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল প্রথমে নগরায়ন দফতরে যান। সেখান থেকে একজন ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ভ্যালুয়েশন বোর্ডে অর্থাৎ সেকেন্ড ফ্লোর যান। তারপর তাঁরা সেখান থেকে যান পাঁচ তলায় ভ্যালুয়েশন বোর্ডের চেয়ারম্যানের ঘরে। অন্যদিকে টিটাগড় পুরসভায়ও চারজনের সিবিআইয়ের দল হানা দেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও রাজ্যের একাধিক পুরসভা পানিহাটি, টিটাগর, শান্তিপুর, মুর্শিদাবাদ, সল্টলেক, দমদম, দক্ষিণ দমদম, ব্যারাকপুর, নিউ ব্যারাকপুর ও বরাহনগর পুরসভাতেও সিবিআই প্রতিনিধিরা তল্লাশি অভিযানে নেমেছে। সকাল থেকেই বিবিন্ন দলে ভাগ হয়ে রাজ্য়ের একাধিক পুরসভায় হানা দিয়েছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের হুগলির ফ্ল্যাটেও গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ সিবিআইয়ের একটি দল চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ায় অয়নের ফ্ল্যাটে যায়। এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, তদন্তে বাধা দেব না, সহযোগিতা করব। এই তল্লাশি অভিযান রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ইডির তরফে দাবি করা হয়, তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড সহ ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে তিনি পুরসভায় দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। অয়ন শীলের কাছ থেকে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশকিছু নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। পরবর্তীকালে ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টিও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট শুনানির জন্য হাইকোর্টকে ফিরিয়ে দেয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে পুনর্বিববেচনার আবেদন জানায় রাজ্য।
আরও পড়ুন: Manipur Violence 2023 | মণিপুরে শান্তির দাবিতে অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কুকিদের
আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment) সিবিআইয়ের (CBI) পর ইসিআইআর দায়ের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ইডি (ED) সূত্রের জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের (Ayan Shill) সংস্থা এবিএস ইনফোজন নামে ইসিআইআর দায়ের করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪০ কোটি টাকা তুলেছিল অয় শীল।