হাওড়া: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও জয় শ্রীরাম স্লোগান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই বিজেপি কর্মীদের জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শোনা যায়। সেই ক্ষোভে মঞ্চেই উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি কর্মীদের স্লোগান দিতে নিষেধ করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলের পদস্থ আধিকারিকরাও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে মঞ্চে ওঠার জন্য বারবার অনুরোধ করেন রেলমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার প্রমুখ। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি মমতার। ম়ঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই ভাষণ দেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বহ বিশিষ্ট মানুষ।
২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরেও একই ঘটনা ঘটেছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ অনেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দিতে ওঠা মাত্রই দর্শক আসনে উপস্থিত অনেকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকেন। মমতা অবশ্য বক্তৃতা থামিয়ে দেন। তিনি দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান। পরে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশও করেন। হাওড়া স্টেশনে যে প্ল্যাটফর্ম থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল, তার উল্টোদিকের প্ল্যাটফর্মে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক হাজির ছিলেন। মমতা গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চের দিকে যাওয়ার সময়ই ওই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকেন। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী আর মঞ্চে ওঠেননি। নীচেই একটি চেয়ারে গম্ভীর মুখে বসে পড়েন। একাধিক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এবং রেলের কর্তারা হাত জোড় করে মুখ্যমন্ত্রীকে মঞ্চে ওঠার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু মমতা সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কী কী কাজ করেছিলেন।
আরও পড়ুন:Saket Gokhale Arrest: ফের গ্রেফতার তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখেল, এক মাসে তৃতীয়বার
মাতৃবিয়োগের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অনুষ্ঠানে এদিন হাজির হতে পারেননি। তিনি ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় দলীয় কর্মীসমর্থকদের জয় শ্রীরাম স্লোগানকে অন্যায় কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। মোদিজিকে পর্দায় দেখামাত্রই উৎসাহী সমর্থকরা স্লোগান দেন। জয় শ্রীরাম ধ্বনি আমাদের রক্তেক সঙ্গে জড়িত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নাটক করলেন। অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয় দিলেন তিনি। এর ফল তাঁকে ভুগতে হবে। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পাল্টা বলেন, বিজেপি ন্যূনতম সম্মান পাওয়ারও যোগ্য নয়।