ভারত থেকে রফতানি করা কাশির সিরাপ খেয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় সম্প্রতি ৬৬জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী ডা. সৌমা স্বামীনাথন। তাঁর কথায়, এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
২০ অক্টোবর থেকে পুনেতে শুরু হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলির ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক নেটওয়ার্কের তিনদিনব্যাপী বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানে যোগ দিতে এসে গাম্বিয়ার এতগুলি শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন স্বামীনাথন। তিনি বলেন, ভারতে তৈরি চার ধরনের কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় দলে দলে শিশুমৃত্যুর ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
ভারতে কেন্দ্রীয় স্তরে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেমন রয়েছে এর পাশাপাশি রাজ্যস্তরেও আলাদাভাবে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন বলেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে এসংক্রান্ত কোনও ব্যবস্থা ভারতে নেই। যদিও কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি একত্রে কাজ করলে আখেরে লাভ হত। যে ওষুধগুলি প্রস্তুত করা হচ্ছে তা যথাযথভাবে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকলে এধরনের বিপদ এড়ানো যেতে পারত। ভারতে প্রস্তুত ওষুধের ওপর নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাও আরও কঠোর করা জরুরি।
আরও পড়ুন: Shivraj Patil on Jihad: শ্রীকৃষ্ণও অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, একা কোরান নয়
গাম্বিয়ায় ভারত থেকে রফতানি করা যে কাশির সিরাপগুলি খেয়ে শিশুরা বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন সেই ঘটনা সম্পর্কে ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে। তবে এই তদন্তের আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপ খাওয়া বিপজ্জনক বলে সতর্কতা জারি করেছে। ভারতে তৈরি এই কাশির সিরাপগুলি কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করে।