কলকাতা: দুপুরেই সন্ধে নামল। দুপুর পেরোতেই ঘন কালো মেঘে ঢাকল শহর কলকাতার (Kolkata) আকাশ। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে (Rain) ভিজল কলকাতা সহ হাওড়া (Howrah), দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম সহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলা। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বয়ে যায়। তারই সঙ্গে ছিল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির দাপট। ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ফলে রাত আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় আটজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩, মুর্শিদাবাদে ৩, পূর্ব বর্ধমানে ১ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাঠে কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জৎম হয়েছেন প্রায় ১০ জন। ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে অনেক জেলায় বহু কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, গাছপালা ভেঙে গিয়েছে, বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যহত হয়েছে। ঝড়বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। কালচিনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার জনসভা ঝড়বৃষ্টির জন্য মাঝপথে ভেস্তে যায়। অভিষেক বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে সভাশেষ করে দেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাঠের তাবু।
গত কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহ চলায় দক্ষিণবঙ্গে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মানুষ চাতক পাখির মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল। দিনচারেক ধরে অবশ্য সেই তাপপ্রবাহের দাপট নেই। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও খানিকটা নেমে এসেছে। কোনও কোনও জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টিও হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার কার্যত গোটা রাজ্যেই ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়। সেই অর্থে বলতে গেলে বাংলায় এদিনই প্রথম কালবৈশাখির দেখা মিলল। অনেক জেলাতেই দুপুর থেকেই আকাশ কালো করে আসে তারপরই শুরু হয় বৃষ্টি। কোথাও দুপুরে কোথাও বিকেলে ঝোড়ো হাওয়ীর সঙ্গে বৃষ্টি দাপটে ব্যাটং করে গিয়েছএ। স্বস্তির এই বৃষ্টিতে অনেককে ভিজতেও দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও জেলায় শিলাবৃষ্টিও হয়।
আরও পড়ুন:Purulia | আরপিএফের তৎপরতায় প্রাণরক্ষা পেল ১ ব্যক্তির
আবহাওয়া অফিস জানাছে আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টি হবে। আগামিকাল শুক্রবার আবার ঝড়বৃষ্টি কমে যাবে। আবার ২৯ এপ্রিল শনিবার থেকে এই ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দুই বঙ্গে। পরশুদিন থেকে তিন দিন দুই বঙ্গেই তাপমাত্রা খানিকটা বাড়বে। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তি বজায় থাকবে। স্থানীয়ভাবে যেখানে ঝড়বৃষ্টি হবে, সেখানে তাপমাত্রার পরিমাণ খানিকটা কম থাকবে। তাপপ্রবাহ থেকেও আপাতত মুক্তি মিলেছে। তবে বৃষ্টির স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। এমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। আবহাওয়া দফতর থেকে আগেই এদিন বজ্রপাত হবে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। দুপুর থেকেই জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। কলাকাতার বহু রাস্তায় জল জমে যায়। অফিস ফেরত মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।