ভোপাল: পথ দেখাল কর্নাটক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) চেষ্টা করেও ‘কংগ্রেসমুক্ত’ ভারত গড়তে পারলেন না। উল্টে কংগ্রেসই দক্ষিণ ভারতকে বিজেপিমুক্ত করে ছাড়ল। এবার কর্নাট জয়ের ছকেই মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) জয়ের স্বপ্ন বুনছে কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটের সাত মাস বাকি থাকলেও এখনই মধ্যপ্রদেশে পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ (Kamal Nath)।
কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে সাফ করে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য সদ্যজয়ী কর্নাটককে মডেল করে এগোচ্ছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রতি বাড়িতে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। তারা বলছে, তার পরের ১০০ ইউনিটের জন্য মাত্র ১০০টাকা দিতে হবে মধ্যপ্রদেশবাসীকে। এছাড়াও ৫০০টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের জন্য প্রত্যেক মাসে দেড় হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। এই লড়াইয়ের ময়দানে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে কংগ্রেস ও বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে বিজেপি সেই মোদি ম্যাজিকের উপর ভরসা রাখছে। যদিও কর্নাটকে মোদি ম্যাজিক ফেল করেছে। কর্নাটক জয়ের পর কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়েছে। কংগ্রেসের দাবি, মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ২৩০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল ১১৪ আসনে। বিজেপি পায় ১০৯ টি আসন। পরবর্তীকালে ২০ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ফলে কংগ্রেস সরকারের পতন হয়। সরকার গড়ে বিজেপি।
কর্নাটকে জয়কে হিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে মানবতার জয় বলে উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধী। কর্নাটকে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বজরং দল, টিপু সুলতান, মুসলিমদের সংরক্ষণ নীতি, হিজাবের পাশপাশি দুর্নীতি এবার কংগ্রেসের বড় ইস্যু ছিল। তাতে বিজেপি কংগ্রেসের কাছে গো হারা হেরেছে। আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচন রয়েছে।