নয়াদিল্লি: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19 cases) । কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হলেও বৃহস্পতিবার তা পাঁচ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৫ জন। যা গতকালের থেকে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। দেশে এখন সক্রিয় রোগীর (Active Cases) সংখ্যা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৮৭ জন। করোনা পরবর্তী উপসর্গে মৃত্যু হল ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ মাহাতোর। গত মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮২৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে দেশে ৪.৪১ কোটি সুস্থ হয়েছেন। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি সংক্রমণের বৃদ্ধি দৈনিক সংক্রমণের হারও বাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার (Daily Positivity Rate) ৩.৩২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাত, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। তামিলনাড়ুতেও তা ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে।
আরও পড়ুন:India | Nuclear Reactors | দেশে ১০টি পারমাণবিক চুল্লি তৈরির অনুমোদন কেন্দ্রের
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশব্যাপী এখন পর্যন্ত মোট ২২০.৬৬ কোটি টিকার ডোজ (Vaccine dose) দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১,৯৯৩ টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে, এ পর্যন্ত দেশে ৯২.২৩ কোটি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত 24 ঘন্টায় প্রায় ১,৬০,৭৪২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ভারতে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া (Union Health Minister Mansukh Mandaviya) সোমবার বলেছেন যে ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট যা দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ি। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা না বাড়লেও মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয় জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ শয্যা, অক্সিজেন সরবরাহ এবং অন্যান্য ক্রিটিকাল কেয়ার পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে, জ্বর-সর্দি-কাশি হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, বিশেষ করে যদি জ্বর ৫ দিন একটানা থাকে তাহলে দেরি না করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজির হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদের অন্যান্য রোগ রয়েছে তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।