নয়া দিল্লি: করোনা (corona) পর্বে রাজনৈতিক চাপেই (political pressure) টিকা উৎপাদনের (manufactured) নিয়ম কানুন না মেনেই কোভ্যাক্সিন তাড়াহুড়ো করে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। ভারত বায়োটেক সংস্থার প্রশাসনিক কর্তারা তাদের এই ভুলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। সংস্থার এক অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এরকম বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি বেরিয়ে এসেছে। এমনকী, ট্রায়ালের ক্ষেত্রেও অনেক বেনিয়ম হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে (report published) আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রায়ালের (trial) প্রথম পর্যায়ে (first phase) যতজনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল পরবর্তী কালে একটি মেডিক্যাল জার্নালে (medical journal) প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রোটোকলে অনেক অদলবদল করা হয়েছে।
এমনও দেখা গিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের প্রোটোকল অনুমোদন (approoval) পেয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের (2nd phase) রিপোর্ট আসার আগেই। রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য ছাড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ের ভ্যাক্সিন প্রাপককে বাছাই করা হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের টিকা নেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: ফের আদালতের তোপে সিবিআই, প্রধান-সহ সিটের একাধিক অফিসার বদল
দেশের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিএসসিও ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে(covaccine) ছাড়পত্র দিয়েছিল। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফল বেরনোর দুমাস আগেই সিডিএসসিও ওই অনুমোদন দিয়েছে বলে ভারত বায়োটেক তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সিডিএসসিও কীসের ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনকে আগাম ছাড়পত্র দিল। গত বছর ব্রাজিল (brazil) ভারত বায়োটেকের টিকা তৈরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালের নভেম্বরে কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়। পরে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কো ভ্যাক্সিনের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় কিছু সমস্যার কারণ দেখিয়ে। সংস্থার অফিসাররা বলছেন, সেই সমস্যা অমীমাংসিতই থেকে গিয়েছে। সিডিএসসিও (cdsco) কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ বন্ধ করা নিয়ে জানায়, তাদের কাছে এব্যাপারে কোনও তথ্য নেই।
অনিয়মের এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন নড়েচড়ে বসার পর বায়োটেক সংস্থা ক্ষমাও চেয়ে নেয়। কিন্তু, তথ্য কমিশনও বিষয়টি নিয়ে আর অগ্রসর হয়নি। কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিতর্ক আগেও হয়েছিল। কিন্তু, ভারত বায়োটেক সংস্থার অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট (internal report) এসব তথ্য উঠে আসায় চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশ্ন উঠেছে, সংস্থা কোন রাজনৈতিক চাপের কথা বলছে।