দার্জিলিং: দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা চিড়িয়াখানার শিরোপা পেল দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক(Padmaja Naidu Himalayan Zoological Park)। গত ১০ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল জু অথারিটি অফ ইন্ডিয়া(Central Zoo Authority of India) দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানাকে দেশের অন্যতম চিড়িয়াখানা হিসেবে ঘোষণা করে। দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা ইতিমধ্যেই ক্যাপটিভ বৃডিং বা কৃত্রিম প্রজননের জন্য শুধু দেশ নয় এশিয়া মহাদেশেও সমাদৃত।
১৯৫৮ সালে এই চিড়িয়াখানাটি স্থাপিত হয়। তারপর ১৯৭৫ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই চিড়িয়াখানার নাম করেন পদ্মজা নাইডু জুলজিকাল পার্ক। মোট ৬৭.৫৬ একরের ওপর ৭০০০ ফিট উচ্চতায় এই চিড়িয়াখানাটি গড়ে উঠেছে। দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় রেড পাণ্ডা, তিব্বতি ভাল্লুক ও স্নো লেপার্ড রয়েছে। মূলত দেশ ও বিদেশের দর্শকরা রেড পাণ্ডা, স্নো লেপার্ড, টিবেটিয়ান উলফ, হিমালয়ান থাড়, ব্লু শিপ, স্যালাম্যান্ডার ইত্যাদি প্রাণী দেখার জন্য ছুটে আসেন। মোট ১৬০ রকম প্রজাতির বিভিন্ন বন্যপ্রাণী এখানে রয়েছে। বিশেষ করে রেড পাণ্ডা, স্নো লেপার্ড যখন প্রায় লুপ্ত হতে চলেছে, তখন এই দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় তা সংরক্ষন করা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: Cooch Behar-TMC: কোচবিহার তৃণমূলের এক ব্যক্তি এক পদ নীতি ঘোষণা
এখান থেকেই বিভিন্ন বন্যপ্রণীকে দেশের অন্যান্য চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয় থাকে। বিশেষ করে রেড পাণ্ডারর কৃত্রিম প্রজননে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসার পর সিঙ্গলিলা পার্কে বেশকিছু রেড পাণ্ডা ছেড়ে আসা হয়েছে। দার্জিলিং শহর চিরকালই পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয়। স্বাভাবিকভাবেই দার্জিলিং ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে এই চিড়িয়াখানা কখনওই বাদ যায় না। বছরে প্রায় ৫ লক্ষ দর্শক এই চিড়িয়াখানায় আসে। এর আগেও ২০১৪ সালে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা আন্তর্জাতিক সন্মান দ্যা আর্থ হিরোস (The Earth Heroes) হিসাবে শিরোপা পেয়েছিল।