মোটা ও তোতলা বলে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় সহপাঠীকে কুপিয়ে খুন করল ২ বন্ধুসহ ৭ কিশোর। শারীরিক অসুস্থতার জন্য রোজ স্কুলে বিরক্ত করত বন্ধুরা। কিন্তু, তার জন্য জীবন দিয়ে মাশুল গুনতে হবে, তা কল্পনা করা যায়! নবরাত্রির মধ্যেই ১৭ বছরের ছোট ছেলে দীপাংশুকে চোখের জলে ভাসিয়ে দিতে হবে তা ভাবেননি মা। তাই তিনি সাময়িক মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।
ছাত্রদলের হামলা থেকে ছেলেকে বাঁচাতে পিঠে ছুরির আঘাতে জখম হয়েছেন দীপাংশুর বাবা সৎপাল। ভয়ঙ্কর এই অপরাধের ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। শনিবার মৃত দীপাংশুর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: WhatsApp Account: কড়া নিয়মবিধি, অগাস্ট মাসে দেশে ২৩ লাখেরও বেশি হোয়াটসঅ্যপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ
দিল্লির আদর্শ নগরে একটি সরকারি সান্ধ্য বিদ্যালয়ে পড়ত দীপাংশু। তার দাদা হিমাংশু জানান, আমার ভাই কথা বলতে গেলে আটকে যেত এবং স্বাস্থ্য একটু বেশি ভালো ছিল। এর জন্য স্কুলে ওকে রোজ কয়েকজন বিরক্ত করত। ভাই ওদের অনেকবার কাকুতিমিনতি করেছে, যাতে ওরা তাকে উত্ত্যক্ত করা ছেড়ে দেয়। কিন্তু, ওরা শুনত না। হিমাংশু আরও জানায়, গত বুধবার ভাই বাড়ি আসে জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায়। তখন ও জানায় ওদের সঙ্গে তার মারামারি হয়েছে।
তখনই জানা যায়, সেটাই প্রথম নয়। এর আগেও উত্ত্যক্ত করার জন্য দীপাংশুকে ওরা মারধর করত। একথা শুনে বাবা বলেন, পরেরদিন তিনি গিয়ে ওকে স্কুলে দিয়ে ও নিয়ে আসবেন। সেইমতো বৃহস্পতিবার ছেলেকে আনতে যান বাবা। তখন আমিও পিছন পিছন যাই, বলেন হিমাংশু। ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, ছুটির পর ওরা আচমকাই হামলা চালায়। আমার ভাইকে কয়েকজন মিলে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। আমার বাবা বাধা দিলে তাঁকেও পিঠে ছুরি মারে। যারা এই কাজ করেছে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ২ জন দীপাংশুর ক্লাসের বন্ধু। বাকিরা বাইরে থেকে এসেছিল।