চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতে (India) ২৩ লক্ষেরও বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি তাঁদের নিয়মমাফিক প্রতি মাসের বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) কর্তৃপক্ষ। আর অগাস্ট মাসে ২৩ লাখ ২৮ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট কোনওরকম অভিযোগ আসার আগে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াটসঅ্যাপ।
পরিসংখ্যানগত অনুযায়ী আপাতত ৪০ কোটি ভারতীয় ব্যবহার করেন মেটার মালিকানাধীন এই বার্তা পাঠানোর অ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনেই এই অ্যাকাউন্টগুলি নিষিদ্ধ করেছেন তাঁরা। নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলি এই আইন মানছিল না বলেই দাবি তাঁদের। জুন মাসে ২২ লাখেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়েছে। ব্যবহারকারীরা অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিয়ে অভিযোগ জানান। আবার হোয়াটসঅ্যাপের নিজস্ব ব্যবস্থাও রয়েছে বেআইনি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করার। সেই নির্দিষ্ট মাপকাঠির ভিত্তিতে ওই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: SBI Home Loan EMI: ঋণশোধের হার বাড়ল, দেখে নিন কত হচ্ছে ইএমআই
পাশাপাশি মে মাসে ১৯ লাখ, এপ্রিল মাসে ১৬ লাখ আর মার্চ মাসে ১৮ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়েছে। ২০২১ সালেই বদল আনা হয় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে। সেই আইন অনুসারে, ৫০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন এমন যে কোনও নেটমাধ্যমকে প্রতি মাসে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করতে হয়। হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা ওই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অন্যতম প্রধান মুখ। তাই প্রতিনিয়ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সকে ব্যবহার করে এই সামাজিক মাধ্যমটিকে আরও বেশি সুরক্ষিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করছেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার-এর তরফেও নতুন একটি আইন তৈরির চেষ্টা চলছে। যে নিয়মবিধি অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা প্রচলন করার প্রয়োজন। যাতে বড় মাপের সংস্থাগুলি কোনও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা মুছে ফেলা, বা কোনওরকম বদল আনার সিদ্ধান্ত নিলে পাল্টা আবেদনের সুযোগ থাকে।