নয়াদিল্লি: দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে মুখ পুড়ল বিজেপির। সোমবার সুপ্রিমকোর্ট সাফ জানিয়ে দিল মনোনীত সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না। আম আদমি পার্টির এক আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ সর্ব্বোচ আদালতের। একেই সঙ্গে ১৬ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচনের দিন বদলে ১৭ ফেবুয়ারি করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, দিল্লির পুরসভা ভোটে বিজেপির পরাজয় ঘটে। জয়ী হয় অরবিন্দ কেজরিয়ালের দল আপ। সেই মতো মেয়র আপের পক্ষ থেকেই হওয়ার কথা। কিন্তু বিজেপি আচমকা মেয়র নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করে। দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকার দিলে তাই নিয়ে বিরোধ বাঁধে বিজেপি-আপের মধ্যে। তিনদিন মেয়র নির্বাচনের সভা ডাকা হলেও দুই পক্ষের হট্টগোলে তা ভেস্তে যায়। ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পরবর্তী দিন ঘোষণা করা হলেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আপ। আজকের এই নির্দেশে আইনি ভাবেও জয় হাসিল করল কেজরিওয়ালের দল।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে নাগরিক নির্বাচনের পরে প্রথম ৬ জানুয়ারি সব ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি এবং এএপি সদস্যদের মধ্যে তীব্র কথাকাটাকাটির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর গত সোমবার একমাস পর তৃতীয়বারের মতো আবারও সংসদ মুলতুবি করা হয়। আপের অভিযোগ, মেয়র নির্বাচন করা যায়নি তার কারণ বিজেপি গণতন্ত্র এবং ভারতের সংবিধানকে শ্বাসরোধ করছে।
আরও পড়ুনCalcutta High Court: রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসছে, আদালতের নির্দেশ
গত ডিসেম্বরে দীর্ঘ ১৫ বছর বাদে দিল্লি পুরসভা হাতছাড়া হয়েছিল বিজেপি। ২৫০ ওয়ার্ডে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পে আপ। উল্লেখ্য, মেয়র নির্বাচন নির্বিঘ্নে করানোর দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আপ। এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে বলেন, ‘আইনে পরিস্কার, অল্ডারম্যানদের কোনও ভোটাধিকার নেই।’ আর শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ওই পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে পদ্ম শিবির।