কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল সিবিআই। নবজোয়ার যাত্রা স্থগিত রেখে শনিবার নির্দিষ্ট সময়ে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। প্রায় পৌনে দশ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বের হন অভিষেক। বেরিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এই জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য বলেও দাবি করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নবজোয়ার যাত্রা বন্ধ করতেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এবার সেই ইস্যুতেই মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ঝড়েও তো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নবজোয়ার। উনি দু’দিন বিশ্রাম পেলেন, সিবিআইকে ধন্যবাদ দেওয়া দরকার। নবজোয়ার করুন না সারা বছর। উনি বলেছেন সহযোগিতা করবেন, তাই সিবিআই ডেকেছে। সিবিআই ডাকলে সহযোগিতা করা উচিত। উল্টোপাল্টা বলছেন কেন?’
আরও পড়ুন: Jalpaiguri | নিশুতি রাতে ভূতে মারে ঢেলা, কোথায়, কাকে, কেন জেনে নিন
এদিকে শনিবার নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গ তোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের দলিল উদ্ধার হয়েছিল। সেই নিয়েও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে পাল্টা দেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘আমার নাম জপ করে বাঁচতে পারবেন না। যে যা করেছে তার জবাব দিতে হবে। আদালতে গিয়ে জবাব দিতে হবে। যে দিন আমাকে ডাকবে সেদিন আমি জবাব দেব।’
এদিকে মদন বনাম এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। কার্যত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কামারহাটির বিধায়ককে সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় দালালি চলছে। যে নেতা যেমন পারছে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কাজ আটকালে গণ্ডগোল। কোনও সিস্টেম নেই। সবাই নিজের মতো চালাচ্ছে। পার্টির উপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। নেতারা জেল যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য আদালতে যাচ্ছে। ডামাডোল পরিস্থিতি। তার মধ্যে পুরনোরা বুঝতে পারছে, তাই কিছু বলতে গেলেই তাঁরা কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে।’