কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির মাঝে এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বাধ্যতামূলক ডিএলএড(dled) ডিগ্রি অর্জনের পরীক্ষাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। টাকা দিলে পাশ করানো হবে এরকম একটি মেসেজ সামনে এসেছে। টাকা না দেওয়ায় সেখানে পরীক্ষার্থীদের ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন(ডিএলএড) প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাই টাকা নিয়ে পাশ করানো সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। কলেজের সচিব নিজে মামলা করেছেন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি উঠলে অভিযোগ শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘গুরুতর অভিযোগ‘।
পরীক্ষা নিয়ে একটি কথোপকথনের মেসেজ সামনে এসেছে। কলেজের ওই সচিবকে এক সহকারী অধ্যাপক(লেকচারার) মেসেজ করেছেন, ‘দুই হলে করে দেব। আজ শেষ দিন। মনে রাখবেন, প্রয়োজন আপনাদের।আমার নয়। যখন ৪৯ জন ফেল করবে তখন আপনাদের ধরবে‘।
আরও পড়ুন Fake Voter: রাজ্যে ২ লক্ষের বেশি ভুয়ো ভোটার বাদ, প্রকাশ হল খসড়া তালিকা
প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা হওয়ার পর অক্টোবর মাসে ফল প্রকাশিত হলে দেখা গিয়েছে, ৪৩ জন ফেল (fail) করেছেন। ওই কলেজের সচিবের দাবি, পরীক্ষার্থী পিছু পাশ (pass) করানোর জন্য ৫ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়েছিল। কিছু টাকা দেওয়াও হয়েছিল। এরপরই মামলা করেন মালদহের মন্মথনাথ কলেজ অফ এডুকেশনের (ডি.এড)সচিব।
এদিকে, এই সপ্তাহেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তালিকা ওই শংসাপত্র প্রকাশ করার ইঙ্গিত দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (primary teacher recruitment) জন্য ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা। এই সপ্তাহে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর বিভাজনও প্রকাশ করা হতে পারে। বুধবার আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২০১৪ সালের সংরক্ষিতরা (reserved) ৮২ নম্বর পেলে তাঁদের উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। সেই তালিকা শুক্রবার আদালতে জমা দেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার্থীরা টেটের(tet) নম্বর বিভাজন ও শংসাপত্র দেওয়ার দাবি করে আসছেন। ২০১৪ ও ২০১৭ ব্যাচের পরীক্ষার্থীরা এই আবেদন করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata high court) নির্দেশে অবশেষে সোমবার রাত আটটার পর পর্ষদের ওয়েবসাইটে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।