Wednesday, June 11, 2025
Homeআন্তর্জাতিকপ্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রেফতার, জামিনে মুক্ত

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রেফতার, জামিনে মুক্ত

Follow Us :

ওয়াশিংটন: ফের শিরোনামে ডোনাল্ড ট্রাম্প! নির্বাচনের ফলাফল জালিয়াতি করার অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালে জর্জিয়ায় ভোটের ফল ওলটপালট করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প, এমনটাই অভিযাগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার তিনি জর্জিয়ার ফুলটন কারাগারে আত্মসমর্পণ করেন। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও গ্রেফতারির পরে ২ লক্ষ মার্কিন ডলারের ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে এবং একাধিক শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। সেসব শর্তের অন্যতম হল, এই মামলার কোনও সাক্ষীকে কোনও ভয় দেখানো যাবে না। কারাগারে ট্রাম্পকে মিনিট কুড়ি কাটাতে হয়েছিল। এর পর তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।

বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ফোন করে ফলাফল পাল্টানোর নির্দেশ দেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরেই ট্রাম্পের এই অপরাধ নিয়ে আলোচনা ঘনিয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপির অভিযোগে তাঁকে অভিযুক্ত হিসাবে সাব্যস্ত করেছিল আটলান্টার জর্জিয়ার আদালত।

শেষমেশ দু’দিন আগে ট্রাম্প নিজেই আত্মসমর্পণ করবেন বলেই আটলান্টার দিকে রওনা দেন। প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, ‘বৃহস্পতিবার আমি জর্জিয়ার আটলান্টা আদালতে যাব, গ্রেফতার হতে।’ সেইমতোই এই আত্মসমর্পণ ও গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে।

আত্মসমর্পণ করে গ্রেফতার হতে গেলেও, নিজের দোষ কখনওই স্বীকার করেননি ট্রাম্প। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বলে এসেছেন, ‘আমি নির্দোষ!’ আটলান্টার বিমানে ওঠার আগেও বেশ চড়া সুরই শোনা যায় ট্রাম্পের মুখে। তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলাকে ‘প্রহসন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। তবে দোষ যদি না-ই করবেন তাহলে আত্মসমর্পণ করছেন কেন, তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

জর্জিয়ার আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে জর্জিয়ার গুন্ডামি-বিরোধী র‌্যাকেটিয়ারিং আইন লঙ্ঘন করা, সরকারি কর্মকর্তার শপথ লঙ্ঘন এবং জালিয়াতির ষড়যন্ত্র। ট্রাম্পের সঙ্গেই অভিযুক্ত হন তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী— হোয়াইট হাউসের তৎকালীন চিফ অফ স্টাফ মার্ক মেডোস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি। তা ছাড়া, আমেরিকান বিচারবিভাগের তৎকালীন কর্তা জেফরি ক্লার্ক-সহ আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের সকলকেই আত্মসমর্পণের জন্য ২৫শে অগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। 

RELATED ARTICLES

Most Popular